একটু বিশ্বাসই তো চেয়েছিলাম-
ভালোবাসার টানা পোড়েনে ছুটেছি
সমুদ্র, নদী, পাহাড়, বহু সবুজ প্রান্তর
অবশেষে দরিদ্র পথে পথেই।
জানা ছিলোনা বিশ্বাসের ওজন করলে তো
কোনদিকে কম হবেই।
তবুও কতো জন ওজন করে নিজের ভালোবাসা?
কতোজনই বা পরিমাপ করে এর ঘনত্ব।
কতো সহজেই তুমি জোনাকির মতো আলো
দিয়ে চলে যাও আমার আঁধারে।
তারপর একটা দিন শুরু হয়েই
শেষ হয়ে যায় সারাদিনের পরিকল্পনার
ছক কষতে কষতে।
কখন যেন অজান্তে নেমে আসে কালো রাতটা।
তখন আমি আবার যে অন্ধ হয়ে যাই গো,
একটু মাতাল হয়ে পড়ি।
তৃণলতার মতো তোমায় অবলম্বন করে
জড়িয়ে আবার যে আমি বাঁচতে চাই সে রাতে।
মুহূর্তেই ক্ষুধার্ত শরীরে জেগে ওঠে প্রান।
আর যে ওজন করা হয়ে ওঠেনা বিশ্বাসের
বোধ বুদ্ধি লোপ পেতে পেতেই-
ঘুমিয়ে যাই সুবোধ বালকের মতো।
কতোই তো খুঁজলাম তোমায় স্বপ্নে,
স্বপ্নেরও গভীরে সিঁধ কেটে কেটে।
যতবার খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে যেতাম
তোমার স্বপ্নে। ফেরার উপায় থাকতো না আর
হতাশ ভরা মন নিয়ে।
তখন বৃষ্টিটা ভিজিয়ে দিয়ে যেতো আমার
চাতকের মতো সব তিয়াসা।
ভেসে যেতাম বৃষ্টির তেজে আঁকাবাঁকা নদী দিয়ে
মোহনায় এসে সমুদ্রের গর্ভে।
আর যে তল পেতাম না কোন।
বিশাল ঢেউটা আছড়ে পড়তো আমার উপরেই।
তারপর মাটি হয়ে যেতো ভোরের স্বপ্নটাই।
নির্বোধ শিশুর মতো লুকাতে চাইতাম
ভালোবাসার বুকে।
শুধু একটু বিশ্বাসই তো চাইতাম।
রচনাকাল : ৬/৯/২০১৯
© কিশলয় এবং টিংকর পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।