আমি ছিলেম পথের ধারে
একা দাঁড়িয়ে অন্য মনে।
হঠাৎ শুনিতে পেলেম ক্ষনে,
কে যেন যায় নূপুর পরে
ঝম ঝম ঝুম ঝুম সুরে।
দেখলেম তখন পথের পানে,
একাকী মেয়ে যায় চলে
পথের ভিড়ে হনহনিয়ে।
এদিক ওদিক না তাকিয়ে,
কেবল দৃষ্টি রেখে পথপানে।
যেন কত তাড়া কত ব্যস্ততা।
কোথায় যেন কার কাছে ও
দিয়েছে কথা পৌঁছে যাবার।
তাই কাহারো পানে চাহিবার
নেই ক্ষনেক সময়ের অবসর।
গতিক বুঝে আমি,
লজ্জা শরমের দিয়ে বলি,
দিয়ে আপন কাজে ফাঁকি,
রাখিলেম মোর দুই আঁখি
অপরুপ ওই আঁখির প্রতি।
লাগিল ভালো যাহা ক্ষনিকে,
দিলেম স্থান তাহা মোর মনেতে ।
পরিচয় নাই নিলেম জিজ্ঞেসে
ক্ষনিক পরিচয় হয়েছে বিনিময়
মনে মনে আঁখিতে আঁখিতে ।
ক্ষনেক সময় পরে,
আঁখির পলক মোর
পড়ল যেই ক্ষনে,
দেখলেম না তারে আমি,
যেখানে ছিল সে খানিক আগে।
যেই না পেলাম দেখা তার,
অমনি ভাঙল মনের দুয়ার।
ভাঙা মনে আঁখি জলে,
খুঁজিনু তারে দিশেহারা হয়ে
ছুটিয়া ছুটিয়া পথের ভিড়ে ।
ভাবি তখন মনে পথপানে চেয়ে
আপনার কেহ না হয়েও
কেন মন না থেকে মোর মনে
শুধু পড়ে থাকে ওই মনে?
কিসের টানে? মন কি জানে?
কিসের টানে তবে ভাটার নদী
কুলকুল ধ্বনির রব তুলে
মোহনায় মিলে যায় সাগরে?
মোর জানতে ইচ্ছে ভীষণ করে
ভাটার নদীকে মনে মনে।
রচনাকাল : ১১/১/২০২০
© কিশলয় এবং দেবাশিস পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।