"......মা আমাকে মেরো না মা... প্লিস...মা...আআমি...আআআমি তোমার ছেলে মা....তোমার একমাত্র ছেলে...আমাকে মেরোনা মা....আমি বাঁচতে চাই....মা আমি বাঁচতে চাই....আমি...আমি বাঁচতে চাই মা...প্লিস মেরোনা আমায়...কথাটা শোনো মা আমার....লক্ষ্মী মা আমার.....শোনো না আমার কথাটা...."
শেষ হয় না কথাগুলো, তার আগেই ধাতব বুলেটটা মাথাটাকে এক নিমেষে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে যায় শরীরের অন্যপ্রান্তে, পরপর আরো চারবার ফায়ার হয়। আর ঠিক তারপরেই মেঝেতে লুটিয়ে পরে এক দীর্ঘদেহী গৌঢ় বর্ণের যুবকের নিথর দেহ...রক্তবন্যা বয়ে যায় মার্বেলের মেঝেতে...ধবধবে সাদা মেঝেতে মনে হয় কেউ যেন যত্নসহকারে রক্ত দিয়ে আলপনা দিয়েছে।
.....কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধান মাত্র....নিমেষের মধ্যেই ঘর থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় যুবকের শরীরটা...মনে হয় চোখের পলকেই কোনো জাদুকর যেন তার মন্ত্রবলে সবকিছু ভ্যানিশ করে দিয়েছে, সবকিছুই আবার আগের মতো ঠিকঠাক স্বাভাবিক, যেন মনে হবে কেউ বুঝি এতোক্ষণ ধরে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখছিল।
"....মা....ওমা....মা...আমি যে আর একা একা থাকতে পারছিনা ওখানে...মা....তুমি যাবেনা আমার সাথে...মা...."বাতাস যেন ফিসফিসিয়ে কথাগুলো বলে গেল নীলাঞ্জনা দেবীর কানের কাছে।আর পারছেন না তিনি...কান দুটোকে দুহাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে সোফায় বসে পরলেন তিনি।কিন্তু কিছুতেই যে তিনি সফল হতে পারছেন না...নরকের কোন গহীন অন্ধকার গহ্বর থেকে কথাগুলো যেন ভেসে আসছে আর তারপর বারংবার তীরের ফলার মতো সেগুলো বিদ্ধ করছে নীলাঞ্জনা দেবীর কর্নকুহর,তারা যে কোনো বাঁধাই মানছে না আর....তাদের প্রতিরোধ করার বৃথা চেষ্টা করে চলেছেন নীলাঞ্জনা দেবী।
"মা...ওমা....এখানে বড্ডো অন্ধকার মা....আমি একা থাকতে পারছি না মা....এসোনা...মা...ও মা..."একটানা ফিসফিসানিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নীলাঞ্জনা দেবী।আর পারছেন না তিনি....বিগত একমাস ধরে একমূহুর্তের জন্য হলেও তিনি দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি...শরীর ভেঙে গেছে তার....চোখের তলায় মোটা কালির দাগ....দেখে এখন পাগল ছাড়া অন্য কিছুই মনে হয়না...খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন...কোথাও বেড়োন না...বেরলেই সে পিছু নেয়...তাড়া করে নীলাঞ্জনা দেবীকে....সাথে কানের কাছে ঘ্যানঘেনিয়ে বলে চলে একটানা একটাই কথা..."মা...ওমা...মা"..তাই নিজেকে একপ্রকার ঘরবন্দী করে নিয়েছেন তিনি।
কিন্তু না...আর নয়...ঢের হয়েছে...এতদিন অনেক সহ্য করেছেন তিনি...এবার কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে তাকে....নিজের আলুথালু শাড়ীটাকে যাহোক করে গায়ে জড়িয়ে বেডরুমের দিকে এগিয়ে চলেন তিনি।
কোনোক্রমে নিজের শরীরটাকে বেডরুমে টেনেটুনে এনে দরজাটা লক করেন নীলাঞ্জনা দেবী,তারপর স্টাডি টেবিলের ড্রয়ার টেনে বের করেন একটা ডায়রী...পেনদানী থেকে টেনে নেন নিজের পছন্দের পেনটা...তারপর ডায়রীর ওপর ঝুঁকে পরে খসখস করে লিখতে শুরু করেন তিনি....
....বহুকষ্টে লিখতে বসেছি আজ।শরীরে আমার এতটুকু শক্তিও আর অবশিষ্ট নেই,তবু আজ আমি জানাতে চাই আমার সবকিছু,যে বা যারা পড়বে এটা তাদের ওপরেই আমি বিচারের দায়িত্ব দিয়ে গেলাম আমার অপরাধের।
আমি নীলাঞ্জনা সেন, নামকরা গাইনোকলজিস্ট, বিয়ে হয় নামকরা শিল্পপতি অঞ্জন রায়ের সাথে। বছর ঘুরতেই জন্ম নিল আমাদের ভালোবাসার অংশ, আমাদের সন্তান নীলাদ্রী...আমাদের আদরের নীল...আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। পৃথিবীতে মনে হয় আমাদের থেকে বেশী সুখী তখন আর কেউ ছিলনা। সময় এগোতে লাগল নিজস্ব গতিতে..আমার নীলও বড়ো হতে লাগল। আমরা দুজনেই ওকে তেমন সময় দিতে পারতাম না...কিন্তু তার মানে এই নয় যে আর্থিকদিক থেকেও আমরা কার্পণ্য করেছিলাম, মুখফুটে কিছু চাওয়ার আগেই সবকিছু হাতের নাগালের মধ্যে পেত নীল, সুখ-ঐশ্বর্য কোনো কিছুরই কমতি রাখিনি আমরা। দেখতে দেখতে শৈশব পেরিয়ে সদ্য কৈশোরে পদার্পণ করল নীল। আমরাও নিজেদের জগত নিয়ে আরো বেশি করে ব্যস্ত হয়ে পরলাম, এমনও হত পরিচারিকার ভরসায় ছেলে আমার দিনের পর দিন একা একাই বাড়িতে থেকে যেত। কিন্তু খটকাটা লাগল আমার যখন ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল। কোনো ছেলে পরিচালককেই নীলের তেমন পছন্দ হতনা, ও খুব রাগারাগি, চেঁচামেচি করত, অনেকসময় তো আবার বাড়িতে ভাঙচুরও করত, আবার কোনো মেয়ে পরিচারিকা একমাসের বেশি এবাড়ীতে টিকতে পারত না, দৈবাৎ যদি দুমাসও টিকে যেত তবে হুট করেই কেমন ভোজবাজির মতো উবে যেত। নীলের থেকেও কোনো সদুত্তর পেতাম না, আমরাও বিশেষ পাত্তা দিতাম না, ছোটলোকদের জন্য কেই বা অত চিন্তায় মাথা খারাপ করবে, আর সত্যিকথা বলতে কি নিজের জগত সামলে আমাদের অত সময়ও ছিলনা।দুমাস আগেও ঠিক একইঘটনার পুনরাবৃত্তির পর আমাদের বাড়িতে কাজে এল চম্পা, আমাদের নতুন পরিচারিকা। কত আর বয়েস হবে? ওই ষোলো-সতেরো, বলল মায়ের খুব শরীর অসুস্থ, যে করেই হোক টাকার খুব দরকার, মায়া হল খুব, তাই রেখে দিলাম ওকে। কি মনে হতে একটা ফোন কিনে দিলাম ওকে, পাছে কোনো দরকার লাগে, তেমন হলে যেন আমার সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে ও, তারপর ফোনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বুঝিয়ে, সংসারের সব দায়িত্ব ওকে দিয়ে নিশ্চিন্তে পাড়ি দিলাম লন্ডন, আমার সেমিনার ছিল,অঞ্জন তখন ব্যাংককে, ওর বিসনেস ট্রিপে,ফিরতে আরও দুমাস সময় লাগবে।
সেমিনারে একদিন রাতের বেলা মোবাইলে চম্পার ফোন এল, মেয়েটা কাঁদছিল, কিছু বলতে যাবার আগেই ফোনটা কেটে গেল। আশ্চর্য হলাম...সঙ্গে সঙ্গেই নীলকে ফোন করলাম, ফোন সুইচড অফ, চম্পারও তাই,ভয় পেয়ে গেলাম....তড়িঘড়ি পরদিনের ফ্লাইটেই ফিরে এলাম শহরে। বাড়িতে পৌঁছতে পৌঁছতেই রাত একটা হয়ে গেল,এতরাতে কাউকে বিরক্ত করবনা ভেবে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম, তারপর যা দেখলাম তাতে আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল...নীল... নীল চম্পার সাথে এসব কি করছে? ও কি মানুষ? নিজের চোখকে কিছুতেই বিশ্বাস করাতে পারলাম না যে নীল এমন!! ততক্ষণে চম্পার অবস্থা শোচনীয়, রক্তে ভিজে যাচ্ছে চারদিক, মুখের কষ বেয়ে রক্ত পরছে, চোখদুটো ভাঁটার মতো বেরিয়ে আসতে চাইছে বাইরে....আর নীল!! চরম মূহুর্তের আবেশে চোখদুটো বুজে এসেছে তার।
চিৎকার করে উঠলাম..."নীল!!!"
চমকে উঠে পিছনে ফিরে তাকাল ও তারপর অস্ফুটে বলে উঠল,"মা তুমি!! এখন!!"
তারপরেই তড়িতবেগে ছুটে গেল ওর বেডরুমে, আমি ছুটে এলাম চম্পার কাছে, নিজের রক্তমাখা হাতদিয়ে আমার হাতটাকে মুঠো করে ধরল ও,তারপর আমায় এমন এক সত্য জানাল যা শুনে আমার মেরুদণ্ড দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল।
"দাদাবাবু এমনই গো গিন্নিমা,আগের সবার সাথেও এমনধারাই করেছে.. তারপর সবাইকে ভয় দেখিয়ে ভাগিয়ে দিয়েছে.... গিন্নি...মা....মাআ..মা...আমি বিচার পাবোনা?....কথা দাও...কথা দাও....তুমি এর বিচার করবে...মাআআ....মাআ..গো.. গো..." শেষ করতে পারলনা ও...গলগল করে রক্তবমি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরল।
নিজের রক্তমাখা হাতটার দিকে তাকিয়ে কানে শুধু ওর বলে চলা শেষ কথাগুলোই ভাসছিল...ও আমাকে মা বলেছে...আমাকে ভরসা করেছে,আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে ওর ওপর হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে...তারপর...তারপর কি হল জানিনা...ছুটে গেলাম শোবার ঘরে....আলমারির লকার থেকে বের করলাম রিভলভারটা...তারপর একছুটে বাইরে এসে ছুটে গেলাম নীলের রুমের দিকে,দরজাটা খোলাই ছিল...একটানে সেটা খুলে রিভলভারটা তাগ করলাম নীলের দিকে।আমার এমন রূপ দেখে ও চমকে উঠেছিল,ভাবতেও পারেনি ওর মায়ের এমন রূপ কোনোদিন ওকে দেখতে হবে ...হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি করছিল...কিন্তু আমি সেসব শুনলে তো...প্রথম বুলেটে এফোঁড়-ওফোঁড় হল ওর মাথা,তারপর বাকি চারটে শরীরের বাকি চারটে অংশকে ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল,মেঝেতে লুটিয়ে পরল ও....রক্তে রাঙা হল লাল মার্বেলের মেঝে...ভাগ্যিস সাইলেন্সারটা লাগানো ছিল, নাহলে এতোক্ষণে হয়ত পাড়ার লোক জড়ো হয়ে যেত....ঘটনার আকস্মিকতায় আমিও মেঝেতে হাঁটুমুড়ে বসে পরলাম,হাউহাউ করে কাঁদছিলাম আমি...তবে নীলের জন্য নয়...চম্পার জন্য...মেয়েটা কি অমানুষিক কষ্ট পেয়েছে...পাপবোধ হচ্ছিল বাকিদের জন্যও...না জানি নীল তাদের সাথে কি করেছে? তারা আদেও বেঁচে আছে তো?
জানেন নিজের কৃতকর্মের জন্য আমার এতটুকুও আফসোস নেই....পৃথিবীর বুক থেকে একটা ধর্ষককে সরিয়ে দিয়েছি আমি...ভারতীয় সংবিধানের যা করতে বছরের পর বছর সময় লাগত তা আমি এক লহমায় করে দিয়েছি....ওকে যখন আমি নিজে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারিনি...তখন আমিই নাহয় ওকে শাস্তিটা দিলাম,দায়িত্বটা যে আমার ওপরই বর্তায়...দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল আমার কাছে শ্রেয়।
নিজের ওপর তখন গর্ব হচ্ছিল হঠাৎ করেই...আমি পেরেছি...চম্পাকে ন্যায়বিচার দিতে আমি পেরেছি। তারপরেই মনে হল লাশদুটো নিয়ে এবার আমি কি করব....মূহুর্তে কর্তব্য স্থির করে ফেললাম।
চম্পাকে স্নান করিয়ে পরিষ্কার পোশাক পরালাম...তারপর নিজেই লিখলাম ডেথ সার্টিফিকেট,হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু,ডাকলাম ড্রাইভারকে। ও বেচারা কিচ্ছু জানত না, ওকে সবকিছু বললাম, কিরকম অদ্ভুত চোখে ও আমায় দেখল, তারপর কেন জানিনা আমাকে প্রণাম করে নীলের শরীরটা নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে গেল।কথা ছিল বিশ কিলোমিটার দূরে বিলের পাশে গাড়িটাকে দাঁড় করিয়ে ডিজেল ঢেলে গাড়ি সমেত নীলকে জ্বালিয়ে দেবে ও, তারপর সেখান থেকে নিজের বাড়ি ফিরে যাবে। আমিও চম্পার শরীরটা নিয়ে চলে এলাম শ্মশানে। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে অন্তিম সংস্কার করলাম চম্পার,তারপর বাড়ি এসে সবকিছু গুছিয়ে ফোন করলাম থানায়, নীলের মিসিং রিপোর্ট লেখালাম। বয়ানও দিলাম বাড়ি এসে ওরজন্য সারারাত অপেক্ষা করে ওকে না পেয়ে তবেই ডায়েরী করেছি.....ব্যাস পুলিশও খোঁজ শুরু করল নীলের...কিন্তু কোনো হদিস পাওয়া গেলনা ওর....পাবেই বা কিকরে....ও যে আর বেঁচেই নেই।
ভাবলাম আপদ বিদায় হয়েছে...কিন্তু না পরদিন থেকেই শুরু হল সেই অমানুষিক নির্যাতন। রোজরাতেই ফিরে আসতে থাকল নীল, সাথে সবসময়ই কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে আমায় ডাকতে লাগল...জানি আমি ওটা নীলেরই গলা....ও ওখানে একা থাকতে পারছে না আর....এখন রোজরাতেই সেদিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়....আমি আর সহ্য করতে পারছিনা এই অত্যাচার...তাই আমি চললাম নীলের কাছে। যাবার আগে স্বীকার করে গেলাম নিজের দোষ,ড্রাইভার রমেনদার কোনো দোষ নেই...উনি যা করেছেন সবটাই আমার নির্দেশে। অঞ্জন পারলে আমায় ক্ষমা করো,একজন ধর্ষকের মা হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে একজন ধর্ষকের খুনী হয়ে বেঁচে থাকা আমার কাছে বেশি সম্মানের গো,ভালো থেকো তুমি।
ইতি,
তোমার নীলা
কাঁপা কাঁপা হাতে ড্রয়ার থেকে পিস্তলটা বের করে নিলেন নীলাঞ্জনা দেবী।পিছন ফিরে দেখলেন তার সামনে অন্ধকারে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে,মাথা ফেটে রক্ত পরছে...সারাশরীর ছিন্নভিন্ন,ঘরজুড়ে পোড়া গন্ধে ম ম করছে।
গুড়ুম্....গুড়ুম্....গুড়ুম্.....পরপর তিনবার ফায়ারিংএর শব্দ শোনা গেল....তারপরই মেঝেতে লুটিয়ে পরল নীলাঞ্জনা দেবীর নিস্তেজ শরীরটা।ক্ষণিকের মধ্যেই অন্ধকারে মিশে গেল দুটো ছায়ামূর্তি...ঝাপসা হলেও দূর থেকে দেখে মনে হল দুটিই নারী অবয়ব,মৃত্যুর ওপারেও বুঝি পাপীদের জগত আলাদাই হয়।
********************************************
"ডায়রীটা পড়ে কি বুঝলেন স্যার?মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ কি খুঁজে পেলেন?" ইন্সপেক্টর আদিত্যকে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন কনস্টেবল রতনবাবু।
"বুঝলেন রতনবাবু,আমাদের সমাজে নীলাঞ্জনা দেবীরও দরকার আছে বৈকি!! স্যালুট ওনাকে ওনার এই মানসিকতার জন্য!! জানতে চান কেন?তাহলে পড়ুন এটা" বলেই ডায়রিটা রতনবাবুর দিকে এগিয়ে দিলেন ইনস্পেক্টর আদিত্য বাসু॥
রচনাকাল : ২৬/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং সায়ন্তী সাহা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।