আর গভীর রাতের অন্ধকার নয়,
এবার তো দিনের প্রত্যক্ষ আলোতেই,
আর প্রতীক্ষা করতে হলো না সূর্যাস্তের,
এবার তো সূর্যদেবের উপস্থিতিতেই,
আর করতে হলো না লোকচক্ষুর লজ্জা,
এবার তো ক্যামেরার সামনেই
বেআব্রু হলো ভিখিরি রূপী
তোর মা, বোন, মেয়ের ইজ্জত।
তুই, আমি, সুসভ্য ব্যক্তি পথচারী
সেই অটোচালক, ওই কাঁধে ব্যাগ ধারী
সকলে দেখতে পেরোলো অর্ধনগ্না
বিদীর্ণ বেহুলার মতো নারী উপত্যকা।
খিল্লি হচ্ছে নাকি?
প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে তো।
কবি তোমার কলম থামাতে হবে,
তুমি পারোনা এসব কুকথা লিখতে,
জেলে ভরা হোক কবির বালের খাতাকে।
আগে গো-মাতা কে রক্ষা করা হোক।
কবি তুমি বাঁচতে পারো, যদি
শোনো সন্ন্যাসী যোগীর কথা,
যদি লেখো গোশালয়ের কথা,
দুটো ভালো হিন্দু কবিতা।
রচনাকাল : ২৯/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।