বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র বলে
চূড়ান্ত হিসাব মিলিয়ে দিতে পারি
একটু পরিশ্রমেই।
যদি হিসাব করতে হয় ছোট থেকে
বড় পর্যন্ত সবকটি হিসাব খাতা-
শৈশবের খেলনা বাটিতে সাজিয়ে রাখা
দিনগুলোর হিসাব।
একদিন সেই অন্ধকার অট্টালিকার কাছে
বালির আত্মসমর্পণ,
নুড়ি কাঁকরের আন্দোলনে হেরে গিয়ে
বালির পরাজয়ের নির্মম ইতিহাস -
তার হিসাব তো অনেকটাই লম্বা।
এখন নির্জন দাবার চালের এক প্রান্তে আমি
অন্য প্রান্তে শৈশব,
জানি এই কঠিন খেলায় শির নত হবে আমার,
হেরে যেতে হয় সবাইকে।
কঠিন বাস্তব মেনে নিয়ে জীবন গর্তে
ঝাপ দিতে হবে পতঙ্গের মতো আগুনে।
এই আগুন যে বড় কাছের আমার কাছে,
আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু,
আমার সব স্মৃতি, লাভ ক্ষতি পুড়িয়ে
দিতে পারে সে মুহূর্তেই,
তবুও রাগ নেই আমার একটুও,
নীরব স্মৃতি পুড়িয়ে ছাইয়ের কণায়
জাগিয়ে দিতে পারে ও আমার শৈশবকে।
কিন্তু পারেনা ফিরিয়ে দিতে শৈশব।
তাই তো বন্ধু বলি আগুনকে ।
জানিনা আগুনের সাথে কেউ কোনদিন
বন্ধুত্ব করেছে কিনা?
শৈশবের হিসাব কেউ করেছে কিনা?
ওর শিখায় কেউ জীবন্ত বুক রেখে
জ্বলেছে কিনা আদৌ?
তাই এই আগুনের বুকে হাত রেখে
আমি বলতে চাই -
“হে অগ্নি, হে সর্ব শক্তিমান,
হে চেতনায় দীপ -জ্বলে ওঠো নিঃশ্বাসে
জ্বালিয়ে দাও ভিন্নমুখী মনুষ্যত্বকে,
হে মুক্তির দূত মুক্তি দাও আমায়,
হে দিব্য জ্যতি নিঃস্ব করো আমায়,
নিঃস্ব করো।”
হিসাব আর মেলাতে পারিনা ।
একবুক তৃষ্ণা থাকে বুকে তবুও আমি
ফিরে আসি শয়নকক্ষে।
হিসাবের প্রদীপ শুধু দপ করে জ্বলে ওঠে মনে।
নিভে এলেই ঝাপসা চোখে
ঘনিয়ে আসে আঁধার।
--------------------------
রচনাকাল : ২৫/১০/২০১৫
© কিশলয় এবং টিংকর পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।