মেয়েদের নাচ গান না শিখিয়ে বরং ক্যারাটে শেখান। আমরা যে দেশে বাস করি সে দেশের মেয়েদের নাচ গান না শিখলেও চলবে কিন্তু একসাথে চার পাঁচ জনকে কাবু করার ক্ষমতা থাকতেই হবে।ব্যাগে করে এবার থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেরোতে হবে। শুধু লিপস্টিক নিয়ে বেরোলে আর চলবে না। চোখে আর জল নয় আগুনের লেলিহান শিখা থাকতে হবে। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্ম করে দিতে হবে মানুষরুপী ভয়ঙ্কর জানোয়ার গুলোকে। আইন, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা সবটাই কথার কথা। নিজেদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে। তাই মেয়ে সন্তান জন্মালে তাকে লক্ষী হওয়ার মন্ত্র না শিখিয়ে চন্ডী হতে শেখান। যার চোখে মা কালীর মত আগুন থাকবে। লক্ষী হয়ে আর বাঁচার কোন উপায় নেই। ঘরেও বিপদ বাইরেও বিপদ।
কদিন আগে মনীষা দাস নামে একজন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছে। কদিন তাকে নিয়ে খুব হইচই হল।সেতো ঘরের মধ্যেই ছিল তবুও বাঁচতে পেরেছে কি??
আজ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি বাইরে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর সম্মুখীন হল। তাহলে মেয়েরা যাবে কোথায়?
কোথায় গিয়ে লুকোলে বেচারি রা প্রানে বাঁচতে পারবে??
আজ পুরুষ জাতির লজ্জার দিন। সব পুরুষ ধর্ষক নয় তবুও আজ সব পুরুষের মাথা নত হয়ে আছে। প্রত্যেকবার একটা করে ধর্ষন হয় আর সত্যি কারের যারা পুরুষমানুষ তারা মরমে মরে যায়। পুরুষ হয়ে জন্মানোর জন্য লজ্জা বোধ করে।কিন্তু ধর্ষক কখনো পুরুষমানুষ নয়। ওদের কাছে শুধু পুরুষাঙ্গ টাই আছে যেটা মেয়ে শরীর দেখলেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।আট থেকে আশি সমস্ত নারী ওদের কাছে এক। একটা ফুটো থাকলেই যথেষ্ট। তাই ওদের কে পুরুষমানুষ বলে সত্যিকারের পুরুষমানুষের অপমান না করাই ভালো। ওরা এক একটা নরকের কীট। মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল না করে সেই আগুনে নরকের কীট গুলো কে জ্বালিয়ে দেয়া উচিত। একটা ভয়ানক শাস্তির ব্যবস্থা যতদিন না হবে ততদিন কোন প্রিয়াঙ্কা কোন আসিফা কোন নির্ভয়া এই দেশে নিরাপদ হতে পারবে না। কোন মেয়ে বউ সন্ধ্যের পর বাইরে থাকতে পারবেনা। একটা নারী শরীর বহন করার অপরাধে প্রতি মূহুর্তে গুটিয়ে থাকতে হবে প্রত্যেকটা মেয়ে কে।
তাই মন আর শরীর দুটো দিক দিয়েই আরো বেশি শক্তিশালী হতে হবে। প্রতিবাদ আরো জোরদার হোক।
রচনাকাল : ৩০/১১/২০১৯
© কিশলয় এবং মনি রায় ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।