আজ কোন কারণ ছাড়াই অরিন্দমের কথা খুব মনে পড়ছে সংযুক্তার।বারবার পনেরো বছর আগে ফেলে আসা অতীতে ডুবে যাচ্ছিল।বাবা মা এর বারণ সত্ত্বেও বেকার ছেলেটির হাত ধরে এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়েছিল।
বাবা মাএর আশীর্বাদ পায়নি বলেই হয়ত বিয়েটা সুখের হয়নি সংযুক্তার।ছোট্ট ছেলেটাকে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল অরিন্দম গাঙ্গুলী।তারপর এই সমাজের সাথে লড়াই করে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে।এসব ভাবতে ভাবতে
হঠাৎ করেই কলিং বেলটা বেজে উঠল।
দরজাটা খুলতেই চমকে উঠল।
ঠিক দেখছেতো সংযুক্তা?
ঠিকই দেখছে,চেহারার আদল সেই একইরকম আছে।
--ঢুকতে দেবেনা আমায়?
সংযুক্তা সরে দাঁড়ালো দরজা থেকে।
চোখ দুটো স্থির হয়ে রইল।
এত বছর পর আবারও দেখতে পাবে মানুষ টাকে কল্পনাতেও ভাবেনি।
--কদিন ধরে শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা তাই শেষবারের মত তোমাদের একবার দেখতে এলাম।
হয়ত আর দেখা হবেনা কোনদিন।বলল অরিন্দম।
বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল সংযুক্তার।
--ছেলে কলেজে চলেগেছে,তাই ওকে হয়ত আর দেখতে পাবনা বলেই চোখ মুছলো অরিন্দম।তারপর বেশ খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইল সংযুক্তার দিকে।লড়াই করতে করতে মুখের আদলটাই যেন পাল্টে গেছে। পনেরো বছর আগে শশরীরে যাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল আজ তার কাছে কিসের জন্যই বা ফিরল মৃত্যুর পরে?কিসের টানে?সে উত্তর হয়ত অরিন্দম এর কাছেও নেই।
রচনাকাল : ৩০/৪/২০২০
© কিশলয় এবং মনি রায় ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।