ll একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে..ll
আমি, আপনি বা ওরা..
এক রাশ আশায় বেঁধে আছি বুক-
এক দিন এ সব ঠিক হয়ে যাবে।
একাকিত্বে ভোগা ঐ বৃদ্ধটা, তাঁর ফ্ল্যাটে
গল্পের আসরের দুই সঙ্গীকে আবার ফিরে পাবে
যে দিন সব ঠিক হয়ে যাবে..।
বিষের হাওয়ায় মূর্ছিত পলাশ যত -
তার রূপ লাবণ্যেয় আবার ফুটে উঠবে
রঙিন হবে রাস্তাগুলো,
জেদের বশে বিদেশ গিয়ে ফেরৎ আসা,
-আইসোলেশনে থাকা অবাধ্য ছেলেটি
কাউকে নিয়ে আবার উড়ান দেবে..।
বদ্ধঘরে থাকা শিল্পীরা সব খোলা আকাশে নতুন সুর তুলবে
কাজের মাসী আবার অন্যের ঘর সাজাতে ব্যস্ত হবে।
কার্ফুর শেষে-
দীর্ঘদিন ধরে ফোনকলের বার্তালাপ ছেড়ে
বিরহীরা সব দৃষ্টি বিনিময়ে প্রাণ খুঁজে পাবে।
বার্তাবাহক চ্যানেলগুলো আবার কোনো নতুন খবরে
স্বর চড়াবে,বিজ্ঞাপন বাড়াবে..
চব্বিশ ঘন্টা, চব্বিশটা দিন এই চব্বিশটা রাত
জেগে থাকা ঈশ্বরগুলো ঘরের কোলে ক্লান্তির মাথা ঠেকাবে..।
ঐ..দিন সব ঠিক হয়ে যাবে -
ধর্ম ধর্ম খেলে যাওয়া ঐ মানুষগুলো
একদিন করজোড়ে মাথা ঠেকিয়ে যাবে
এই স্টেথোস্কোপধারী প্রাণদায়ী মূর্তিগুলোর
কর্মের কাছে।
দৌড়ে পালাবে সেই দিন- মনুষ্যত্বের সম্মুখে লজ্জিত হয়- পাছে!
রাজনীতির রঙ আর গুজব ছড়িয়ে যাওয়া
ঐ প্রাণীগুলোর স্বর ক্ষীণ ও ক্ষুণ্ন হয়ে যাবে
একদিন - জ্ঞানী সমাজের প্রকাশে..।
বিষাক্ত ভাইরাস যেদিন থাকবে না বাতাসে..
গঙ্গার বুক জুড়ে প্রতিবেশী স্টীমারের শব্দ
শোনা যাবে জনবহুল ইডেনের গ্ল্যাল্যারি থেকে,
বাগবাজার,প্রিন্সেপের ঘাটগুলো ভরে উঠবে-
জনমানসের ভীড় আর কাক-কোকিলের ডাকে।
-একদিন সব কিছু ঠিক হবে..।
হাওড়া ব্রিজ থেকে হুগলী সেতু আবার ব্যস্ত হবে যানে,
মঠ-মসজিদ জাগবে ও মন্দির সাজবে পুণ্যার্থীর গঙ্গা স্নানে।
পার্কজুড়ে খেলতে থাকা ছেলেগুলো মাথা তুলবে
নীলাকাশে,দূরদেশে ভেসে যাওয়া বিমানের দিকে।
যোগাযোগ আর কাছে যাওয়ার বাধা যত ভেঙে যাবে,
একদিন সময়ের সাথে।
সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে বিশ্বাসের হাত ধরে,
শ্রম আর যত্নের সাথে..,
ভারত জাগবে এক দিন সুস্থতার আলোয়,
র্নিবিষ প্রভাতে। এই আশায় সাবধানতা নিতে হবে -
এক দিন সব-ব ঠিক হয়ে যাবে..।
✍আশাবাদী কলমে: প্রলয় সামন্ত ❤
রচনাকাল : ১৮/৪/২০২০
© কিশলয় এবং প্রলয় সামন্ত কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।