হেমলক গাছের রস,
চাই এক ফোঁটা লিথ নদীর
শান্ত স্নিগ্ধ জলধারা,
যে ধারার অবাধ চলন
ভুলিয়ে দেবে আপনার সব স্মৃতি।
ফিনিক্স পাখির ছাই,
চাই এক ফোঁটা অনন্তের
সাম্যবাদী বৃষ্টির জল,
যে জল ধুয়ে মুছে ফেলবে
আমার সব পার্থিব ধারণা।
চাই আমি পার্থিব জ্ঞানের
সম্পূর্ণটাই ভুলে যেতে,
যে জ্ঞান জ্ঞানের আবর্তে অজ্ঞানতা,
সহমর্মিতার আবর্তে সহবৈরিতা,
শান্তির আবর্তে অশান্তির বার্তা,
সেই জ্ঞানকে মুছে দিতে চাই।
চাই আমি এক অগাধ কানন
যেখানে ফুটবে রঙিন, সাদা ফুল
যার থাকবে না কোনো ভেদ।
চাই আমি এক অনন্ত আকাশ
যেখানে উড়বে পাখি বায়ুর ভরে,
নিচে কেও বুনবেনা গল্প নীতির,
সেই নীতি যা ধর্মের নাম পেয়ে
আজ হয়ে পড়েছে অনৈতিক।
চাই না আমি কোনো ধর্ম,
যা এক জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে
অপরকে করে নিমেষেই হেয়।
ধর্ম সে তো মানুষ কে মানুষ
মাঝে রাখে ঐক্যবদ্ধ করে;
কিন্তু আজ একবিংশ শতাব্দী
ধর্ম আজ বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত।
নিজের ইহলোকের লৌকিক পর্যায়
নিয়ে গর্ব করে অন্যকে করে ছিন্নভিন্ন।
চাই না আমি কোনো পদবী,
যা নামের সাথে জুড়ে
মানবতাকে করে খন্ড খন্ড।
চাই না আমি নিজেকে ধার্মিক বলতে
যে ধর্ম অপরের সাথে তর্কে জড়ায়,
যে ধর্ম সাম্যবাদ কে জাতিবাদের কাছে
নিমেষেই করে মাথা নত নির্দ্বিধায়।
চাই শুধু এক একক সত্তা
যেখানে আমি শুধুই আমি
নেই কোনো বৈষম্যের মাপকাঠি,
নেই কোন আংশিক সত্যের তত্ত্ব;
যেখানে শুধুই অপার মানবতা
যাকে কোনো বিশেষ মত দ্বারা
কখনোই করা যায় না দলিত;
সেই অখন্ড অপার মানবতাকে
পদবিহীন নামে করি অঞ্জলি অর্পণ।
রচনাকাল : ১৪/৫/২০২০
© কিশলয় এবং লোপা দাস কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।