যদি শহরের সব অলিতে গলিতে ঘুরপাক খাওয়া যেত, উদ্দেশ্যহীন।
বা তার থেকে দুরে শহরতলি হয়ে, পিচের মোড়োক শেষ করে
হেঁটে যাওয়া যেত মেঠ পথের বাঁকে।
যেখানে সূর্য ডোবা দেখা যায়,চাঁদ হাঁসে তারাদের দেখে।
তাহলে, হয়ত আরো কয়েক লক্ষ কবিতা জন্মাত।
ঘিঞ্জি বাসস্টপের ধারের চাউমিন ওয়ালা, দক্ষিন-গামী রেলগাড়ির
চলমান বিক্রেতা থেকে,গন্ড-গ্রামের গোয়ালা গোপাল, সবাইকে ধরে রাখা যেত।
যে মানুষটা সারাদিন ঘাম ঝরানো পয়সায় কেনা-
বোটকা গন্ধের পানীয়তে বুঁদ হয়ে রাস্তার ধুলোয় ঘুমিয়ে যায়-
তার বুকের ভিতরের হারিয়ে যাওয়া প্রেমীক-সম্রাটকে , সভ্যতায় জায়গা দেওয়া যেত।
যদি আরও কিছুটা সময় পাওয়া যেত,তবে-
যে মেয়েটা দে্হের পসরা সাজিয়ে সমাজের নর্দমার কিনারায় দঁড়িয়ে থাকে,
তার উন্নত বক্ষের গরম যৌনতার তলায় যে
নরম নির্মল অতিত আছে, তাকে প্রনাম করা যেত। আর যে
নপুংশকের থাবায় তার বর্তমান সোনাগাছী হয়ে গেছে, তাকে ল্যংটো করা যেত।
হয়ত আরো কয়েক লক্ষ কবিতা জন্মাত।
ছাপত কিনা বলতে পারি না,সে দায় প্রকাশকের। আমি শুধু লক্ষ লক্ষ কাগজ,
ছড়িয়ে দিতাম প্রজন্মের হাতে, যদি আরও কিছুটা সময় পাওয়া যেত-
শহরের সব দেওয়াল জুড়ে আমার কবিটা দেখা যেত।
হয়ত আরো কয়েক লক্ষ কবিতা জন্মাত।
রচনাকাল : ১/৯/২০১২
© কিশলয় এবং সন্দিপ নস্কর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।