অ্যালকোহলের গন্ধে ভরা রঙীন আসরে বাদামের প্যাকেট ফুরায়।
স্কুলবাড়ির পাঁচিল পেরানো কাটবাদাম গাছ চোখে ভাসে।
শুকনো বাদাম চেবানো হল শেষ,
রঙীন আসরে সাদাকালো নেমে আসে।
শুধু পেয়ালার তলানীতে লালের আভা, ঘরময় খালি বাদামের প্যাকেট,
বোতোলের অর্ধেক এখোনো লাল,ঘন রক্ত ফুটছে যেন।
কাটবাদাম গাছটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে হঠাত !
শুধু রক্তে আর জোর আসেনা, ফুসফুসে নিকটিন গেয়ে ওঠে,
বোতোলে অর্ধেক রক্ত এখনো ফোটে।
আর বাদাম নয়,এবার বাঁহাতে সিগারেট পোড়ে,
ডানহাতে পেয়ালায় জল মেশানো রক্ত, হৃদয় পুড়ে যায়।
টলমল হাতে বোতোলের রক্তক্ষয়।
এবার আর মন নেই মনে,কাটবাদাম বিস্মৃতির কোনে,
শুধু কাট-কাট কর্ম,আর চাপ-চাপ যৌনতার গরম,
রক্তে তারল্যের প্রভাব, প্রশ্বাসে স্তব্ধ অদৃশ্য গরল।
মুখে মুখ রেখে অন্য ঠোঁটে বিষ ঢেলে দিতে চায়।
রাত ফুরালে আবার টাই-শার্ট এর বাঁধন গলা চেপে ধরে বুঝি
এই ভয়ে রাত কেটে যায়, বিছানার নগ্ন উষ্ণতায়।
এভাবেই কাটছিল বেশ,দিন-মাস-বছর হঠাত !
দিনের আলোয় স্কুলবাড়ির সামনে পা-দুটো থমকে দাঁড়ায়।
ভাঙা পাঁচিল আর ভাঙা নেই,কাটবাদাম গাছটাও-
মুছে গেছে কালের রেখায়।
সেদিন সন্ধায় রঙীন রক্তের বোতোলে বহু খোঁজ ব্যার্থ হল,
কাটবাদাম বুঝি বিস্মৃতির কোন থেকেও হারিয়ে গেল।
সেদিন থেকেই সব আসর সাদাকালো।
রচনাকাল : ১৮/৭/২০১২
© কিশলয় এবং সন্দিপ নস্কর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।