দেশটা যাক রসাতলে, তাতে আমার নেই মাথাব্যাথা,
আমার চাই ছোট্ট সংসার,তার মাঝে ছোটো-ছোটো বিলাসিতা।
ছেলের মুখে জাতীয়-সঙ্গীত,ভারত-ভাগ্যবিধাতা।
“ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা।”
শিবরাত্রি-র উপোস রাখে গিন্নি, সত্যনারায়ন পুজোয় হবে সিন্নি,
পৌষের পিঠে,পড়বে পেটে, চারিদিকে উত্সব এর ঘনঘটা।
ক-জন মরল অনাহারে, ক-জন পেলনা অন্ন,
তাই নিয়ে টিভি-র খবরে অভাব হবে পন্য।
আমিতো অতি সাধারন, ওসব ভাবনা নয় আমার জন্য,
আমি শুধু খবর দেখে নাক-সিটকে বলব,দেশের অবস্থা বিপন্ন।
তরপর দিনের শেষে,নরম বিছানায়, হালকা শিতে গায়ে পাতলা কাঁথা,
ছেলের মর্নিং-স্কুলে প্রার্থনায় শেখায়, ভারত-ভাগ্যবিধাতা।
ও আমার দেশের মাটি তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা।
তাই বেঁচে থাকে এই ব্যর্থ গনতন্ত্র, বেঁচে থাকে আমার কাপুরুষতা,
“জন গন মন অধিনায়ক জয়-হে, ভারত-ভাগ্যবিধাতা।”
রচনাকাল : ২৬/২/২০১২
© কিশলয় এবং সন্দিপ নস্কর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।