সন্ধ্যার পদধ্বনী বুকে নিয়ে, আসে নিঝুম রাত,
মনে ঘোরে ক্লান্ত অশরীরি,রক্তে কঠিন বজ্রপাত।
সময়ের কালজয়ি চাবুকে, ক্ষত-বিক্ষত ক্লান্ত হৃদয়,
বুকে বাজে ঘড়ির টিক-টিক,ফুরিয়ে যাবার ভয়।
ওদিকে শেষ লোকাল ট্রেনে সাইরেন ভেসে যায়,
ক্লান্ত নিরবতা নিয়ে, স্টেশনের কান্না জেগে রয়।
দিনশেষের বার্তা নিয়ে,সব পাখি ফিরে গেল ঘরে,
কিছুপাখি রইল গৃহহীন,ঘুমিয়ে গেল পথের ধারে।
নিঝুম রাতে তাই,পাখিদের গান কানে বাজে,
গান মানে স্তব্ধতার কান্না,হৃদয়টা যায় ঘামে ভিজে।
জাগরণের ভাষা বুকে চেপে,চেতনার গলাটেপা শান্তি,
বিবেক দংশনে রাত কাটে,দিনে জাগে বিছানার ক্লান্তি।
চারদিক কাঁটা তারে ঘেরা,জীবনটা মায়ার ঘেরাটোপে,
একদিন ভাঙবে মায়ার বাঁধ,রক্তের বিস্ফরিত তোপে।
সেদিন সামনেই,আলেয়ার মত জ্বলতে থাকে স্পষ্ট,
দুর থেকে হাতছানি দেয়,ধরতে পারাটা বড় কষ্ট।
তাই সন্ধ্যার পদধ্বনী বুকে নিয়ে,রাতের পদাঘাত,
এই লজ্জার গ্লানি ভুলে,একদিন পথেই হবে সাক্ষাত।
রচনাকাল : ১৮/৭/২০১২
© কিশলয় এবং সন্দিপ নস্কর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।