শত শতাব্দী ধরে
পথিক হীণ পথে হেঁটে চলেছি।
কত শীত,কত গ্রীষ্ম,আর কত বসন্ত
যে পার হয়ে গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
নিরন্তর এই পথচলার
সঙ্গী হয়ে আসোনি তুমি।
ধরোনি এ হাত।
দাওনি পথ শেষের কোন পূর্বাভাস।
শুধুই হেঁটে চলেছি
অসীমের পথে।
কোন এক অজানা প্রত্যাশা
আজো উঁকি দেয়
মনের কোনে।
চলতে চলতে
পথের ধারে থমকে থামি
ছায়ামেঘ দেখে।
কখনও ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে চাঁদটাকে দেখি।
মাঠের শিয়ালগুলো আমার বিষন্নতার শরীক হয়ে
গলার আওয়াজ বাড়িয়ে দেয়।
প্রখর রোদে কালের সাক্ষী হয়ে থাকা
বটগাছটার নিচে
ক্লান্ত দেহটাকে এলিয়ে দেই।
শীত এসে সেই
বটগাছটার পাতাগুলোকেও ঝরিয়ে দেয়।
প্রকৃতিও এখন ভীষন বিরূপ আচরন করে আমার সাথে।
তবুও অপেক্ষা
কোন এক বসন্তের,
যে বসন্তে মনের আশাবৃক্ষে
স্বপ্ন কোকিল গান করবে।
বসন্ত কেটে যায়,
শুরু হয় গ্রীষ্মের দাবাদাহ।
প্রকৃতির মত ফেটে
চৌচির হই আমি
আর আমার স্বপ্ন।
একফোঁটা জলের জন্য ব্যাকুল।
বুকটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে।
হঠাত্ করে আগমন ঘটে কালবৈশাখীর।
তুমি হীন বুকটাকেও
আঘাত করতে ছাড়েনা।
অবশেষ আশাটুকুকেও ছিনিয়ে নিতে চায়।
বুকের পাঁজড় দিয়ে আগলে রাখি তার অস্তিত্ব।
তোমার প্রত্যাবর্তনের আশাটুকু।
যা আজো আমার পথ চলার
প্রেরণা হয়ে টিকে আছে।
বর্ষার আগমনে পুলকিত হয় মন,
ভাবি এইবার তুমি আসবেই আসবে,
কদম ফুল যে তোমার ভীষন প্রিয়।
মনের পুকুরে ছিপ ফেলে বসে থাকি।
সে আশাও ফিকে হয়
কাশগুলোর বেড়ে ওঠা দেখে।
অপেক্ষা,
সাদা প্রস্ফুটিত কাশফুলের
অবারিত কাশবনের মধ্যে দৌড়ানোর ইচ্ছাটা আজো আছে নিশ্চয়?
অথবা সেটা আজ অভ্যাসে পরিনত,
তবু আমি আজো ছুটি
নিঃশঙ্গ অবিরত।
নির্জন দ্বীপ
রাত ১০টা
২৫/০৩/২০১২
রচনাকাল : ৬/৭/২০১২
© কিশলয় এবং নির্জন দ্বীপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।