মাছের বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়, চারিদিকে কোলাহল; সেইখান থেকে পার হতেই দেখি কসায়খানায় লম্বা লাইনে দাঁড়ানো অফিস এর বাবু-মশায়রা। আজ তারা যেমন খুব সস্তির মেজাজে।
সবজি বাজারে ও হরেক রকমের সবুজ, কমলা বেগুনি, সাদা, লাল, হলুদ রামধনুর পসরা সাজিয়ে বিক্রেতা দের হাঁকডাক। আজ যেন ব্যাস্ততার মধ্যে ও এক রাশ স্বস্তির আনন্দ বয়ছে।
এরপর পায়ে পায়ে রেস লাগিয়ে এগিয়ে গেলাম; হটাৎ দেখি পায়ের রেস যেনো ক্ষণিকের বিরতি নিয়েছে।
চোখ দুটো দেখালো রাস্তার পাশের গীর্জা টি আজ যেন অনেক সেজে গুজে দাড়িয়ে আর বাইরের দরজায় অনেক লোকের শান্ত লাইন, সবাই ভেতর মুখী।
এই সবের মধ্যে কখন যে ঘড়ি ছুটতে ছুটতে দিনের ৯ ঘণ্টা পার করে ফেলেছে ভেবেই ঝটকা লাগলো। অন্যদিনের মত আজ আর অফিস এর ব্যাগ কাঁধে লোক জনের ভিড় নেই স্টেশন এর প্লাটফর্ম।
তখন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেন ধরার অপেক্ষায়, পাশে একজন বয়স্ক পৌড়া এসে ক্ষীণ কণ্ঠে বলল, "বাবা, এখন কটা বাজে?" আমি ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখি sun 2 সময়ের পাশে ছোট্ট হরফে লেখা। এতক্ষণে আমি ব্যাস্ততার মধ্যে স্বস্তির আমেজের আসল কারণ বুঝতে পারলাম। পৌড়াকে সময় এর দৌড় কোথায় সেটা বলে একটু এগিয়ে চললাম।
আকাশের দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম একদল পাখির ঝাঁক আকাশ পানে মুক্ত ভাবে জীবন প্রবাহে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের নেই কোনো তাড়া কর্মবিরতির, নেই কোনো ক্লান্তি কর্মযজ্ঞের ভিড়ের, তারা নেই কোনো পার্থিব শিকলে বাঁধা, তারা যেন ছুটন্ত জীবনের আপন গতির টানে, শিকল ছাড়া কূলহীন নীলে।
রচনাকাল : ৯/২/২০২০
© কিশলয় এবং লোপা দাস কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।