বসন্ত ফাগুন-- তুমি এসেছো প্রিয়?
সব ভালোবাসার তিক্ততায় যখন কেউ স্থান দেয়নি
তখন তুমি লালের মাধুর্যে রাঙিয়ে দিলে আবার----এই ফিকে জীবনে -
আবীরে ধারন করলে ,যৌবনের বসন্তে ।
যেন এক নিমেষে মুক্ত স্বাধীনতার ভিন্ন স্বাদ পাই ।
আচ্ছা, যদি অপূর্ণ ভালোবাসায় আম্রমুকুলের ঘ্রাণে –
ফিরে পায় তার আপন সত্ত্বা ,
তবে হলুদ বর্ণের চারিদিকে নতুন মুকুল আর পাতায় রূপ ঢেলে
সাজিয়ে বসে থাকে শান্ত হৃদয়ে যেন একরাশ বিষাদ কাটায় তোমার ছোঁয়ায় ।
যেন মুক্তির জোয়ারে ভাসি ।
একদিকে কোকিলের কণ্ঠে দুপুরের অলসতা ,
হালকা গরমের আমেজ ভরিয়ে যেন কানে কানে গুন গুন করে ছড়িয়ে দিয়ে যায় ।
সত্যই নির্জন দুপুরে হঠাৎ যদি তুমি ডেকে ওঠো –ভালোবাসি, ভালোবাসি আর ভালোবাসি
তাহলে বাসন্তী ফাগুন তোমার পলাশ আবীরে - অন্তঃকরণে স্থান জুটবে ।
রাতের আকাশ তোমায় স্পর্শ করে বাসন্তী ---
কি যে মধুর , কি যে তৃপ্তি,কি যে মুক্তি –তা কেবল আঁধার পাখির ডাকই বোঝে ।
কৃষ্ণচূড়ায় ভাসিয়ে দিয়েছি বিরহের গানটুকু
লালের পাশে বাসন্তীর স্নিগ্ধ হাওয়ায়-- মিশে যাই ,
ভেসে যাই অজানা এক ভালোবাসায় ।
পলাশের শুভ্রতায় অসীম শক্তির সঞ্চয় হয়
-এই পৃথিবীর বুকে ।
চির অমর অক্ষয় তুমি বসন্ত আবীরের ফাগুন ।
যেমন ভালবাসা-প্রেমের ফাগুন
তেমনি বিরহেরও ফাগুন ,
পাওয়া না পাওয়ার ফাগুন-
মুক্ততার ফাগুন ।
ওগো! বসন্ত ফাগুন- তুমি একলা ছেড়ে যেওনা প্রিয় ,
দুহাতে সিঁদুর আবীরে রাঙিয়ে দিয়ে যাও—
মনের সিঁথিতে,বিরহের সিঁথিতে
এরা সবাই যে তোমায় চায় ।
ওগো!, বসন্ত আবীরের ফাগুন তুমি একটু থেকে যাও
মনের জানালায় মুক্তি দিয়ে যাও ,
প্রেম আবীরে ভরিয়ে দিয়ে যাও –-বসন্তে, বসন্তে আর বসন্তে ।
রচনাকাল : ৯/৩/২০২০
© কিশলয় এবং জয়া বসাক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।