ওই শুনছো দরজার আওয়াজ,
কে যেন ডাকছে, শুধু ডাকছে!
তুমি তো প্রাসাদে এখনও ঘুমিয়ে;
শুনতে পাচ্ছো তবুও অবিচল।
দরজা খোলো, দরজা খোলো,
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তোমার দ্বারে।
জানালা পরে দেখো
আকাশ আজ শান্ত,
নেই কোনো মেঘের ভেলা।
দূরে, ওই দূরে দেখো
আজ পাহাড় চুড়া স্পষ্ট।
দেখো তোমার ঘরের আসবাব,
ওই গাছের ছালের দড়ি,
ওই দেখো বাঘের ছালের পাপোশ,
ওই যে ওই দিকে দেখো তাকিয়ে
ওই খানে হাতির দাঁতের চিরুনি।
ছাড়ো এই সব এখন,
দেখোনা বাইরে কে ডাকে!
এ কি ভয় পাও নাকি!
নিজের আবাস হারানোর?
তুমি তো বাসস্থানের সাথে
ওদের জীবন ও নিয়েছ
নির্দ্বিধায়, নিঃসঙ্কোচে।
এখন তোমার বল কই?
দরজায় কেও ধাক্কা দেয়
তবু নিঃশব্দে, চুপিসারে।
ভয় কেন এত আজ?
সে তো ক্ষুদ্র, অস্ত্রহীন,
তুমি তো শ্রেষ্ঠ, বলবীর।
জানি একদিন এই শব্দ
কেও করবে প্রতিহত তুমি;
আনবে আরও কালো রাত।
ডাকবে আবার কেও
চুপিসারে কড়া নেড়ে;
তুমি তখন ও রয় বে
আচ্ছন্ন জাগ্রত ঘুমে।
তোমার শক্তি বিশ্ব আবাসনে
ফলাও বুদ্ধির তলোয়ার হাতে।
কিন্তু যখন দরজা ধাক্কা খাবে,
কোনো শক্তি দিয়েও পারবেনা
নিজেদের স্বার্থের আবাস কে
অন্যের শবের ওপর দাঁড় করিয়ে
গর্ব ভরে গিয়ে দরজা খুলতে।
এক্ষনি সব শেষ না,
যত রাত এগিয়ে যাবে
দরজায় ধাক্কা আরও বাড়বে।
পারবে তো দরজার আঘাত
শুনেও শান্তি তে ঘুমোতে??
রচনাকাল : ১৩/৪/২০২০
© কিশলয় এবং লোপা দাস কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।