জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
যেদিন তুমি আমায় প্রথমবার বলেছিলে 'ভালোবাসি'
সেদিনই লিখেছিলাম একটা ভাঙ্গা জিটার দিয়ে চিঠি,
বুড়ো রেঞ্জারে চেপে তোমার পাড়ায় গিয়ে দেব ভেবেছিলাম।
কিন্তু সাহস হয়নি তাই রেখে দিয়েছি এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
যেকোন মুহুর্তে যে কোনো সময়ে তোমার জন্য লিখে রাখি,
আমার মনের কথা, তোমায় না বলা রাগ, তোমার অভিমান
সবকিছু উতরে গেঁথে যায় আর সৃষ্টি করে এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
তোমার সাথে ঝগড়া হলে বা ধর আমাদের রাগ হলে
কিম্বা কথা কাটাকাটি, তখন পাশে থাকে ওই এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা তোমার প্রতিটি বায়না,
কানের দুলের জন্য মুখ গোমড়া করে থাকা, নাকছাবি চাওয়া,
চকবাজারের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকার জন্য জেদও লিপিবদ্ধ আছে;
তোমায় দেওয়া গোলাপের খোশবু দিয়ে লেখা এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
তিরুপতি হোটেলের নিরালা কেবিনের টেবিলের চৌমিনের প্লেটের
নকশাটাও এঁকেছি আমি আমার দোয়াত দিয়ে চিঠির সাদা কাগজে
তোমার কালী মন্দিরের ঘণ্টার ধ্বনি, তোমার জন্য বেছে রাখা গানও
শুনবে তুমি যখন তুমি পড়বে আমার লেখা এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
কত কত দিন আর কত কত মাস আমাদের দেখা না হলেও
আমি ঠিক দিন কাটিয়ে নিতে পারতাম, তোমায় কাছে ভেবে নিতাম,
আমি শুনতাম তোমার সব নালিশ আর বলত ওই এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
কিন্তু একটাও তোমায় পাঠাই নি আমি আর পাঠাবোও না,
তুমি অপেক্ষা কর যেমন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা আমি করেছি,
তুমি ঠিক একদিন আমার কাছে আসবেই আর আসতেই হবে,
সেদিন সারা রাত জেগে ব্যালকনিতে বসে থাকব আমরা
তুমি তোমার অনেক দিনের ইচ্ছে মত তাকিয়ে থাকবে চাঁদের দিকে
আর আমি তোমায় পড়ে শোনাব আমার লেখা এক তোড়া চিঠি।
জানো মৌ তোমার জন্য লিখে রেখেছি এক তোড়া চিঠি।
রচনাকাল : ১৪/১১/২০১৯
© কিশলয় এবং অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।