আমার জ্বালা কেউ বোঝে না .....
আমার জ্বালা কেউ বোঝে না,বলবো কি আর দাদা !!
সন্ধ্যা হতেই ঘিরে ধরে,“নারী মশার গাদা ”।
নাঁকি সুরে প্যান প্যানানি,যদি ও কানে সয়,
কেঁদে কেঁদে হুল ফুটানো মোটেই সুখের নয় !
কোন কোন নারী মশার এমন ই কেরদানি,
ঘন্টা দুয়েক চামড়া জ্বলে,অসহ্য চুলকানি।
উড়ে,ঘুরে,নেচে,গেয়ে,দুলিয়ে সরু কোমর,
রাগ যত সব ঝাড়বে ওরা,কেবল আমার উপর?
পুরুষ মশা ভদ্র ভারী,নয় ওরা রাক্ষস,
শান্ত ওরা,শুধুই যে খায় লতা-পাতার রস।
সবাই জানে পুরুষ মানেই ভদ্র অতিশয়,
নারীর প্যাঁচে পড়েই কেবল মন্দ স্বভাব হয়।
ঈভের প্রলোভনে আদম আপেল খাওয়ার ফলে,
স্বর্গ হয়ে ছিল নরক,সৃষ্টি রসাতলে।
সন্ন্যাসী পাই লাখে লাখে,সন্ন্যাসিনী গোনা,
তবেই বুঝুন,পুরুষে সয় কত টা যন্ত্রণা !!
খাই খাই ওই নারী মশার এতই ভয়ানক !
সন্ধ্যা হলেই ঘিরে ধরে,কেবলই ছোঁক ছোঁক।
কিশোরী হোক,যুবতী হোক,সধবা,বিধবা,
রক্ত চোষার এমন মুফত সুযোগ ছাড়ে কে বা ?
হাতে,পায়ে,বুকে,পিঠে,কপালে,বা গালে
উড়ে এসে জুড়ে বসে,হুল ফুটিয়ে চলে।
চুষে খাবে রক্ত গায়ের,পেয়েছে ন্যাকামি ?
ঠিক করেছি বাড়ী ছেড়ে সাধুই হব আমি।
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
রচনাকাল : ২৯/৪/২০১৪
© কিশলয় এবং শ্রী সমর কুমার সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।