সুন্দরী অথচ সে ভয়াল,
যৌবন চকচকে ধারাল,
জানা শোনা আছে কোন বাঘিনী ?
নখে,দাঁতে বড় তেজ ক্ষুরধার,
দেমাকেতে ছাড়ে ঘোর হুঙ্কার,
পরাজয় মানতে যে শেখেনি !!
জৈবিক ক্ষুধা যার উৎকট,
শিকার দেখলে করে ছটফট,
ওত পাতে,ধরবেই তখনি,
বড় বড় বাঘ যারে ভয় পায়-
দূর থেকে দেখলেই সটকায়,
এমনই চণ্ডা,রণরঙ্গিণী !!
যে বাঘ জীবনেতে ব্যর্থ,
বাঁচার জানে না কোন অর্থ,
শৃগালের মত ভীরু চাহনি।
সঙ্কোচে চিরদিন ন্যুব্জ,
শিরদাঁড়া বেঁকে চুরে কুব্জ,
'বাঘ' কিনা প্রশ্ন-ই জাগেনি।
নিছক বাঁচা কে ভেবে গৌরব,
হারায়েছে জীবনের সৌরভ,
মরতে যে ভয় পায় জীবনে,
বাঘিনী কে ভেবে 'চির-বৈরী',
শিখে পড়ে হোক আগে তৈরী,
তার পর দেখা হোক দু'জনে।
গোঁফে দিয়ে কড়কড়ে মাঞ্জা,
শেষ বার লড়ুক না পাঞ্জা,
হাড়ে হাড়ে ভেলকির ঝাঁকুনি,
ঘোর রবে ছেড়ে রণ হুঙ্কার,
ভেঙ্গে চুরে হোক সব তোলপাড়,
মোকাবিলা বাঘ আর বাঘিনী।
শুরু হোক নখে-দাঁতে সংঘাত,
ঠোঁটে,মুখে ঘর্ষণ দিন রাত,
এক দিন বশ হবে বাঘিনী,
নয় শেষে লড়াইয়ে যাবে প্রাণ,
মরলে ও বাঘ বলে পাবে মান,
তৈরী তো হবে এক কাহিনী!!
কবিতা,সে মিথ্যা বা সত্য,
থাকে তাতে গূঢ় কিছু তত্ত্ব,
মিথ্যা লেখে না কিছু লেখনী,
বাঘ যদি বাঘ বলে মান পায়,
জীবনেতে বেঁচে থাকা শোভা পায়,
সৃষ্টি যে সুন্দর তখনি।
******************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
******************************
রচনাকাল : ২৬/৬/২০১৩
© কিশলয় এবং শ্রী সমর কুমার সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।