বোধোদয়
দিনকাল ভাল নয়,মন উড়ু উড়ু .....
ধ্যান করো এক মনে বলে দিল গুরু।
সকালে উঠিয়া খাই ঈশবের গুল,
তারপরে কানে গুঁজি লাল জবা ফুল।
চায়ে তে চুমুক দিয়া থিতু হলে মন,
ভাবি,যত নারী আছে,সব মোর বোন।
তারপরে কাটি জিভ,গিন্নী যে নারী,
তাকে ও ভগিনী বলা বড় ঝকমারি।
ফের বসে সিগারেটে দিয়ে কয় টান,
বলি,গুরু,ক্ষমা করো,মলিতেছি কান।
গৃহিণী,শ্যালিকা ছাড়া যত নারী আছে,
সব যেন মা,ভগিনী,লাগে মোর কাছে।
ফস্টি নস্টি করে যত চেনা নারী,
বলে দেব আর নয়,এ সবেতে দাঁড়ি।
নারী জাতি আমাদের মায়ের সমান
সারা দিন গাই যেন তারই গুন গান।
এক দিন বাজারেতে ঘুরে ইতি উতি,
দেখি এক অপরূপা,তরুনী যুবতী।
মন করে উসখুস,কি যে হলো ছাই,
ফস্ করে বলে ফেলি-“মা গো,কি কি চাই?
বাজারে তে কেন মা গো,এসেছ একাকী?
তোমার বাড়ীতে কোন ছেলে নাই না কি ?
তারপরে কি যে হলো,বলি কি প্রকারে?
কবি বলে চেনে তাই ছেড়ে দিলো মোরে।
আর এক দিন- বেলা সন্ধ্যা তখন,
পথে এক বুড়ী দেখে,বলি “শোনো বোন,
বিস্কুট,চকোলেট,খাবে না কি বলো?”
বুড়ী বলে,রাম রাম !! মিনসে যে ম’লো।
ছেলের বয়সী তুই,এ কি আচরণ ?
চার দিকে জমে গেলো,বহু লোক জন।
বাজারেতে ঠোঙা বেচে এক সে দোকানী,
বলে, আরে লোকটা কে ভাল করে চিনি।
এমনি তে সাদাসিধা,নাই মনে গোল,
ছাই পাঁশ লিখে মাথা হয়েছে পাগল।
মাঝে মাঝে বই ছাপে,টাকা ঢেলে জলে.
ওর বই কেনে না তো কেউ কোন কালে।
কিলো দরে কিনে আমি ঠোঙা বানাই,,
ছেড়ে দাও ভাল লোক,মেরো না কো ভাই।
নারী জাতি দেখি যত নষ্টের মূল,
ফিরে পাই নব জ্ঞান,ভাঙ্গে যত ভুল।
মা বোন প্রয়োজন,সে কথা আলাদা,
পুরুষের মনে আছে আর ও যে তাগাদা।
সব নারী মাতা হলে,কে রহিবে বাকি ?
ব্যর্থ জীবন লয়ে বাঁচিব একাকী?
সব নারী ভগিনী তো কে হবে প্রেমিকা?
বেলপাতা খেয়ে সবে রবো একা একা ?
উত্তর বলে দাও,কোথা গেলে গুরু,
ফের হোক জীবনের অধ্যায় শুরু।
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
রচনাকাল : ২৯/৪/২০১৪
© কিশলয় এবং শ্রী সমর কুমার সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।