বিখ্যাত অঙ্কবিদ "prof. জন ন্যাস" যখন নোবেল প্রাইজ নিতে যান ১৯৯৪ এ তখন
তিনি এক speech দেন।তাতে তিনি যা বলেন তার খানিকটা তুলে ধরা যাক। আগে
তার সম্বন্ধে কিছু জেনে রাখা ভালো ... উনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ করেন ...
এবং সেখানে তিনি তার ই এক স্টুডেন্ট ‘de Lardé’ এর প্রেমে পড়েন, ও পরে
তাকে বিয়ে করেন।prof. ন্যাস এর জীবন সুখকর ছিল না মোটেই। তিনি এক
দুরারোগ্য মানসিক রগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন বিয়ের কিছু দিন পর ... নানা কাল্পনিক চরিত্র
দেখতে পেতেন যাদের আদপে কোনও অস্তিত্ব ই ছিল না ... চখের সামনে সব সময় কিছু
কাল্পনিক মানুষ কে দেখতে পেতেন আর ভাবতেন এরা তার ক্ষতি করতে চায় ...
তার জন্য ওনাকে মানসিক চিকিৎশালয় (mental asylum) এও থাকতে হয়েছে
ওনেক দিন। উনি এখনও জীবিত,এবং আজ ও ওনাকে মানসিক রোগের ওশুদ খেতে হয় ...
কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যেও ওনার স্ত্রী ওনাকে ছেরে যান নি ... যখন উনি এই সব
প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তখন de Lardé ন্যাস ওনার পাশে থেকেছেন ...
তাই ১৯৯৪ এ নোবেল প্রাইজ নিতে গিয়ে উনি যে কথা গুলো বলেছিলেন তার কিছুটা তুলে
ধরার চেষ্টা করছি ... "আমি বরাবর সংখ্যায় বিশ্বাস করেছি, সেই সব সংখ্যায় যা আমাকে
কোন না কোনও সমাধান এ পৌছাতে সাহায্য করবে। কিন্তু কি এই সমাধান? আর কিই
বা সেই তথ্য যা আমরা প্রমাণ করতে চাই?? আমার সারা জীবনের সব থেকে বড়
আবিষ্কার হল 'ভালবাসা' - যা কোনও সংখ্যা তথ্য মানে না, কোনও সূত্র মানে না, আমার
স্ত্রী আমার পাশে না থাকলে আমি আজ এখানে আসতে পারতাম না। আর তার সবটাই হল
সেই ভালবাসা"! বিশ্বাস, অনুভূতি, আবেগ, আস্থা, জীবন, মৃত্যু এই সব কিছু মিলিয়ে হয়
ভালবাসা। ভালবাসার কোনও সীমা হয় না, ভালবাসা মাপাও যায় না ... কখনও চকিতে
মনের কোনে এসে দেখা দেয় আবার কখনও কাঁদিয়ে চলে যায় ... ভালবাসার মৃত্যু নেই,
কাল এই নশ্বর দেহ নাও থাকতে পারে কিন্তু যদি কাওকে বা কিছু কে ভালবেসে থাক
মনে প্রাণে ... তা থেকে যাবে। আজ হয়তো তোমাদের কাছে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু ভালবাসা
ছাড়া সবই বেরঙ্গিন, আবার হয়তো কারোর কাছে কিছুই নেই, কিন্তু একটা প্রকৃত ভালোবাসা
এনে দিতে পারে নতুন জীবন। তাই তো সেই গান টা আমার এত প্রিয় "আমি দুঃখও কে সুখ
ভেবে বলতে পারি যদি তুমি পাশে থাকো, আমি দৈনও কে হাসি মুখে সইতে পারি যদি তুমি
পাশে থাকো ... না হয় হল না দেখা ফুলেদের সাজ না হয় হল না শোনা পাখির আওয়াজ ...
সব কিছু ভালো আজ লাগতে পারে যদি তুমি পাশে থাকো ..." কিন্তু এ সব কিছুর ভিত
হল "বিশ্বাস" - সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, ওটা হল বিশ্বাস। যেমন জীবন আছে মৃত্যুও তেমন
ই সত্যি, এটাও হল বিশ্বাস। আমি তেমন ভেবেই কিছু বা কাওকে বিশ্বাস করেছিলাম, চেয়েছিলাম
সেই বিশ্বাস টুকু .......... কিন্তু .......... আজ নিঃসঙ্গতা, বেদনা, হাহাকার টুকু সম্বল করে একাই
পথ চলেছে সেই ক্লান্ত পথিক, যার কাছে বেঁচে থাকাটাই এখন প্রহসন ... পৃথিবীর পথে, সিঙ্ঘল
সমুদ্র থেকে নিশীথের আধারে হিমালয় শিখরে, জীবন গিয়েছে চলে আমাদের ২০-২০ বছরের
পার, তখন ... মুক্ত মুখী আমি আর শৈশব, মাঝখানে ব্যাবধান ২০ অথবা ৩০ অথবা ৪০
অথবা .............
রচনাকাল : ১২/৭/২০১২
© কিশলয় এবং Mr. Nemo কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।