আমি হয়তো অনগত কোন ভালোবাসার অঙ্কুরীত বীজ।
যা সমাজের ভয়ে স্থান পায় নি–
স্থান পায়নি মায়ের কোল, বাবার স্নেহ ভালোবাসা।
ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠা আমার।
সেই খাবারেও টান পড়লো একদিন!
দুদিনের অনাহারে কাটানো পেটের জ্বালা কি?
সেটা আমার থেকে ভালো কে বুঝবে?
অবশেষে চুরি করতে গেলাম!
কি? না একটা মাত্র রুটি।
পারলাম না ,ধরা পড়ে গেলাম।
কপালে জুটলো সকলের কাছে অপমান,
একাধিক লোকের প্রহার।
সেই প্রহারের আঘাতটা সহ্য করে নিলাম।
ভেবে দেখলাম আর মার খাবো না।
মনে জন্মালো এক আলোর উৎস।
বললাম আমাকে কাজে নেবে?
একটু খাবার আর থাকার জায়গা,
আর কি চাই আমার?
তাই লোকের খাওয়া উচ্ছিষ্ট বাসন আর―
উচ্ছিষ্ট খাবার আমার জন্য বরাদ্দ হল।
আমার ও ইচ্ছা করে বাবা মার সাথে থাকতে।
তাদের পরিচয়ে বাঁচতে।
আমিও চাই সবার মতো পড়াশুনা করতে
ইস্কুলে যেতে―
কিন্তু–
কে বাড়িয়ে দেবে ভালোবাসার হাত?
এর জন্য কারা দায়ী?
এই সমাজ না আমি?
আমি যে পরিচয়হীন এক বালক।
তাই আজ আমি শিশুশ্রমিক।
এটাই আমার এখন পরিচয়।
রচনাকাল : ৩১/৫/২০২০
© কিশলয় এবং সুমিতা গাঙ্গুলি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।