আচ্ছা, ফুল দেখেছ?
কেমন লাগে তাদের হাসি আর মন ভরানো গন্ধ?
সে বুনো ফুল হোক বা ধনীর সাজানো বাগানের।
উঃ যেন মন কেড়ে নেয়।
তবে না;
মানায় না একথা সকলের মুখে।
সুন্দর ঐ মিষ্টি ফুল টা কে ছিঁড়ে, নিজের প্রয়োজনে টুকরো টুকরো করতে বিবেকে একটুও বাঁধেনা ঐ মানুষ গুলোর।
তবে ধনীর বাগানের ফুলে হাত দিতে বাধে,
তারা যে সৌন্দর্যের প্রতিক।
কাজের জন্য তো প্রয়োজন গরীবের বাগানের ফুল;
শিশুও তো একটা ফুল।
সকল শিশুরই সমাজে সমান অধিকার হওয়া উচিৎ।
তা সত্বেও জন্ম লগ্ন থেকেই ঐ ধনীর শিশু, যে সোনার চামচ মুখে করে জন্মেছে - তার রূপ, গুণ দরিদ্র ঘরের সন্তানের চেয়ে কম হলেও তার ধনী পিতার পরিচয়ে সমাজের সকল পাঁক থেকে সে বহু দূরে, সুরক্ষিত।
কিন্তু পিতা-মাতা থাকা সত্বেও দরিদ্র ঘরের শিশু কে শৈশবেই অনুভব করতে হয় - এক মুঠো খাবার জোগাড় করা কত কষ্টের;
ক্ষুধার জ্বালা যে কি সে প্রতিটি ক্ষণে অনুভব করে।
আর পেটের তাগিদে ছোটে ঐ ধনীর সেবা করতে।
যার কিনা স্কুলে শিক্ষা লাভের বয়স- তার হাতে তখন অন্য লোকের এঁটো কাপ, ভাতের থালা।
একমুঠো ভাত আর সামান্য পয়সার বিনিময়ে ঐ ধনী গুলো কেড়ে নেয় তার শৈশবের হাসি।
ঐ মাপা খাবারে যখন পেট ভরেনা, ঘেন্না বিসর্জন দিয়ে তারা পেট ভরায় এঁটো-উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়ে।
আবার কেউবা ধনীর কারখানায় দিনমজুর বা ক্ষেতের শ্রমিকের কাজ করে।
এক কথায় সামান্য কিছুতেই ওদের বোকা বানিয়ে নিজেরা আখের গোছায়।
শিশুশ্রম আইন- বিরোধী জেনেও, তাদের জীবনের স্বর্ণসময় কে গলা টিপে মেরে আইন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখা হয় " যেন আর একটাও শিশু শ্রমিক গড়ে না ওঠে।"
রচনাকাল : ৩১/৫/২০২০
© কিশলয় এবং নূপুর গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।