চাঁদনী রাতে জোছনার ব্যাপকতায়
আলোকিত হয়ে থাকে চারপাশ,
সে আলোয় লজ্জা পেয়ে জোনাকিরাও
মুখ লুকায় ঝোপের আড়ালে,
অথচ যে আলোর জন্য চাঁদের এমন রূপ
সেটির মালিকানা চাঁদের নয়,
তাইতো আমার জোছনা ভাল লাগেনা
আমি অপেক্ষা করি অন্ধকারের।
অন্ধকার রাতে জোনাকিদের দৌরাত্ম দ্যাখে কে?
ঝোপে ঝাড়ে শুধুই আলোর মিছিল
আশ্চর্য সুন্দর সেই দৃশ্য,
তবু কেন জানি তখন আমার
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
লাখো কোটি তারার ঝলমলানি মাড়িয়ে
আমি খুঁজি অন্য কিছু,
খুঁজি শত কোটি আলোক বর্ষ
দূরের কোন এক নক্ষত্রকে,খুঁজি তোকে।
ভাবনার চরে,কাশফুলের বিছানায়
মাথার নিচে দু'হাত দিয়ে শুয়ে
অপলক তাকিয়ে থাকি
শরতের মেঘহীন আকাশপানে।
অপেক্ষা তোর বাড়িতে নিমন্ত্রনের।
স্বপ্নলোকের সিঁড়ির অস্তিত্বের
কোন প্রমাণ আমার জানা নাই,
না থাকলেই বা কি?
স্বপ্নলোক তো স্বপ্নলোকই।
সেই স্বপ্নলোকের সিঁড়িটা
একবার দে না নামিয়ে,
আমি যেতে চাই তোর নক্ষত্র বাড়ি,
সাথে নিয়ে যেতে চাই
পৃথিবীর সবটুকু সম্ভব ভালবাসা,
অনেক যতনে বুকের খাঁচায়
আগলে রেখেছি যে ভালবাসা,
সেই ভালবাসা তুলে দিতে চাই তোর আঁচলে
তুই দু'হাতে ভালবাসা মাখিস তোর চাঁদমুখে।
আমার অভিমানিনি,
আর কতকাল থাকবি তুই দূর বহুদূরে
এবার তোর ভালবাসায় আমায় নে জড়িয়ে
তুই যে আমার কল্পলোকের নক্ষত্র মেয়ে।
১৩/১২/২০১২
সন্ধ্যে
রচনাকাল : ১৯/১২/২০১২
© কিশলয় এবং নির্জন দ্বীপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।