এই জোছনায় খুব বেড়েছে
কষ্ট নদীর জল,
ঢেউগুলো সব আমার বুকে
খোঁজে তারই তল।
ভাবনাগুলো এলোমেলো
পায়না খুঁজে কুল,
বেলাশেষে ভাবে বসে
সবই বুঝি ভুল।
রঙতুলিতে রঙ লাগেনা
শূণ্য যে ক্যানভাস,
মুখটা তোর আঁকতে বসে
দেখি ধূসর আকাশ।
ইচ্ছে ঘুড়ির ছেঁড়া সুতো
উড়ছে বেসামাল,
চলছে সবই যেমন চলে
আমিই পাইনা তাল।
মনফড়িঙ এর ডানা ভাঙ্গা
উড়বে কি রে সে?
পিপড়ে খাবে রঙটা যে তার
হবে ফ্যাকাসে।
তালপাতার আর হয়না চশমা
হয়না হাতঘড়ি,
বাবুই পাখিরাও বাঁধেনা ঘড়
দিয়েছে আঁড়ি।
শিউলিরা আর ঝরে না
তুই কুড়াসনা বলে,
বকুলেও হয়না মালা
গন্ধ বিফলে।
বিড়ালটাও ডাকে না তোর
টেবিলের তলে,
আদর করে নিসনি যে তুই
কোলেতে তুলে।
লিখিস নাকি গল্প কবিতা
অন্য খেয়ালে?
কেমনে কাটে সময় যে তোর
বিষাদী বিকেলে?
বৃষ্টি এলে হাত বাড়িয়ে
ধরিস না কি জল?
কদম ছিঁড়ে নুডুলস করে
রাঁধিস কি না বল?
পায়েলটা কি পড়িস আজও
ছন্দ কি আসে?
ফাগুন হাওয়ায় উড়লে আঁচল
মনটা কি ভাসে?
স্বপ্নেরা তোর দ্যাখে সুদূর
আমি পরে রই,
ঝাপসা চোখে দেখবো কি রে
স্বপ্ন পাবো কই?
কাঁদিস কেন পাগলী মেয়ে,
ভাবিস কি রে তুই?
এই বুকে আর রাখিস না মুখ
কেমনে তোকে ছুঁই?
জীবন পথে থামবিনা বল
দিবিনা আর ডুব,
স্বপ্নচূ্ঁড়ায় পৌঁছে যাবি
রইল দোয়া খুব।
আমার কথা মনে করে
কাঁদিসনা অঝরে,
থাকবো ভালোই তোরই সাথে
ভাবনার বাতিঘড়ে।।
রচনাকাল : ২৮/৬/২০১৬
© কিশলয় এবং নির্জন দ্বীপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।