২৩ই ডিসেম্বর রবিবার
নবদ্বীপে গুরুদেব বাড়ির আয়জনে,
নৌকাযোগে ভ্রমণ করা
গুরুদেব বনভোজনে ।
খোল কীর্তন উলুধ্বনি
গুরুদেব মাঝখানে,
নৌকাভরে ভক্তবৃন্দ
গুরুদেব মনে প্রাণে ।
নৌকামাঝে বাল্য ভোগ
প্রসাদে আলুরদম-লুচি,
কর্ণপটহে হরিনামে
সবাই হলাম শুচি ।
কীর্তনেরি মাধুর্য্যে
সুরধ্বনি বহে বঙ্গে ,
নৃত্য করে ভক্তকুল
অঙ্গের বিভঙ্গে ।
কীর্তনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে
গঙ্গার দুই কুলে ,
প্রেমানন্দে ভাসছে সবাই
পার্থিব দুঃখ ভুলে ।
গঙ্গার পাড়েও পাড়ের বাসী
দুহাত তুলে নাচে ,
নতুন সম্ভুনগর প্রসাদ পেল
গুরুদেবের কৃপা আছে ।
নৌকা আবার এগিয়ে চলে
ঘূর্ণিতে নোঙর পড়ে ,
বিশ্বসেরা মাটির পুতুল
নিয়ে যাব ভাবি ঘরে ।
পরবর্তী তীর্থ সমাধিস্থল
জগৎবন্ধু শায়িত ,
পঞ্চবটী বৃক্ষ দেখে
মন হয় আনন্দিত ।
এরপরেতে নৌকা মাঝে
গুরুদেবের মধ্যাহ্নভোজন ,
নানা রকম ব্যঞ্জনেতে
বিশাল আয়োজন ।
ভোজন শেষে আরতি করা
পুষ্পবৃষ্টি ঝরে ,
এমন দৃশ্য দর্শনেতে
শান্তিতে মন ভরে ।
তারপরেতে প্রসাদ গ্রহণ
প্রণাম করে খাওয়া ,
এমন আনন্দ না আসলে
কেমনে যেত পাওয়া ।
চিড়ার পোলাও সোলার থালায়
বৈকালিক আহার ,
নানান পর্বে হরেক প্রকার
খাবেরের সব বাহার ।
নৃত্যগীত চলতে চলতে
সূর্য ঢলে পড়ে ,
ফিরতে হবে এবার ঘরে
ইচ্ছে নাহি করে ।
সবার জীবনে গুরুদেবের
ঝরুক কৃপাদৃষ্টি ,
দূরীভূত হোক সকল ক্লেশ
হোক করুনা বৃষ্টি ।
রচনাকাল : ৩১/১২/২০১২
© কিশলয় এবং ভাস্কর সাহা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।