যেদিন পৃথিবীতে কোন প্রানের অস্তিত্ত ছিলনা
ছিলনা গাছে গাছে ফুলের সমারোহ
ছিলনা পাখিদের কলতান,
ভোরর সূর্য যখন কারো ঘুম ভাঙ্গাত না
তখনতো এই ধরিত্রীর ছিলনা কোন সীমানা?
অতঃপর ধীরে ধীরে এই ধরিত্রী হয়ে উঠল জনবহুল
বরষা,বসন্তে প্রকৃতি সাজল ফুলের রঙে
পাখিদের কলতানে মুখরিত হল চারপাশ
অথচ অস্তিত্তের লড়ায়ে ভাঙতে থাকল ধরিত্রী।
অনুমতি ছাড়া একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
যাবার কথা ভাবাটাও এখন আর আইন সম্মত নয়,
তাইত প্রবল ইচ্ছা সত্তেও উপভোগ করা হয়না
ধরিত্রীর অপরূপ সৌন্দর্য।
কিন্তু এভাবে হয়ত ভূমিকে খন্ডিত করা যায়
কখনই প্রকৃতিকে নয়।
তাই যদি না হয় তবে,
আকাশ ভরা তারাগুলো কার?
দিনের সূর্য,রাতের আকাশের চাঁদটা কার?
প্রকৃতির ঐ হৃদয় জুড়ানো সমীরন কার?
এসবের কি কোন সীমারেখা হতে পারে?
তোমায় নিয়ে টেমসের তীর ধরে গোধূলী বেলা হাঁটার স্বপ্ন দেখে ম্
তোমার সাথে মৃতসাগরে ভাসতে চায়,
চেরাপুঞ্জিতে অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজতে চায়,
ডিঙি নৌকায় পাল তুলে আটলান্টিকে হাল ধরতে চায়,
আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে,অথবা কোন গিরীপথে হাঁটতে চায়,
রূপকথার রাজকন্যকে সাত সমুদ্র তের নদীর পেড়িয়ে জয় করতে চায়।
অবুঝ মনের সকরূন এই আকুতির কি কোন সীমানা আছে?
ভাবনা গুলোর অবাধ বিচরনের জন্য কি পাসপোর্ট,ভিসার প্রয়োজন আছে?
কখনই নেই।
প্রকৃতির প্রবাহ যেমন কখনই সীমানা দিয়ে বাঁধা যায়না,
অবঝ মনের চাওয়া গুলোকেও তেমনি কোন সীমনা প্রাচীরে আটকানো যায় না।
মনের চাওয়া পাওয়ার থকেনা কোন বয়স,হয়না কোন সীমানা।
রচনাকাল : ৩/৯/২০১১
© কিশলয় এবং নির্জন দ্বীপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।