চেকটা হাতে নিয়ে বললাম – সইটা ম্যাচ করছেনা । আর এক বার সই করুন ।
কম্পিঊটার স্ক্রিনটায় লগ ইন করে , আবার ফিরে দেখি চেকটা পড়ে আছে ! কার এটা ? মুখ তুলে জোর দিয়ে বললাম ।
সামনে দাঁড়ানো লম্বা লাইন , আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে – নির্বাক হয়ে ! সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি কে বললাম-
কি হল নিন ।
- স্যার ওটা আমার নয় । উনি তো চলে গেলেন ।
- চলে গেলেন ! কিন্তু চেকটা …।
ক্যাশ কাউন্টারে আজ আবার বসতে হয়েছে, তার ওপর এই সব ঝামেলা ! উফফ । নিখিলেশ না আসলে এতো ভীড় সামলানো
যায়না । ছোট ব্রাঞ্চ তাও কাস্টোমারের যা ভীড় ! জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই করতে হয় । ট্রান্সফার হয়ে এই ব্রাঞ্চে
যেদিন থেকে এসেছি এক দন্ড ও বিশ্রাম নেই । প্রথমে ভেবেছিলাম গ্রামীন ব্রাঞ্চ – কিন্তু কোথায় কি ? হা হা হা
সৌর্য শেখর রায় , কেমন আছো তুমি ? নিজেকে নিজেই বললাম ।
লাঞ্চ ব্রেকের সাইন বোর্ডটা রেখে উঠতে যাবো । হঠাৎ চেকটা চোখে পড়ল । সেলফ চেক । থ।ক, যার চেক সে আসলে
পরে দেখা যাবে । চেক টা টেবিলে রেখে উঠতে যাবো হঠাৎ চোখ পড়লো চেকের ওপরে লেখা নামটায় -চিরশ্রী মজুমদার ।
বুক টা ধড়াস করে উঠলো ! – পনেরো বছরেও নাম টা পিছু ছাড়লো না !
কেবিনে গিয়ে লাঞ্চবক্স টা বের করে , টেবিল সাজালাম । পকেট থেকে মোবাইল বার করে ফোন লাগালাম –
- চিরশ্রী কি করছ ? খাওয়া হল ?
নাইট গার্ড এসে জিজ্ঞেস করে গেল –“ সাহাব চায়েকে লিয়ে বলু ?”
- না , আমার হয়ে গেছে আমি বেরবে ।
চেক টা নিয়ে নাড়া চারা করতে করতে ভাবনায় ডুবে গেছিলাম । নাহ ; দেখি কি আড্রেস বা ছবি আছে ? বয়স হলো
কিন্তু হুজুক গেল না ! যাবেও বা কি করে ? এই নাম টা নিশ্বাস না দীর্ঘশাস ? তা আজ ও আমি বুঝতে পারলাম না !
চেকটায় লেখা একাউন্ট নম্বর টা কম্পিউটারে ফেলে দেখা যাক । নাহহ। নম্বরটা নিচ্ছে না কম্পিঊটারে। দেখি আবার টাইপ
করি । নাহ , এটা কি ভুল চেক ! না না ঠিক আছে , এটা তো ফাইব ! ওকে , দেখি …। চমকে উঠলাম !
-(২)-
চেক টা ব্যাংকে ফেলে এসেছি ।
ব্যাঙ্ক থেকে আসার পর থেকে ক্রমাগত ঘেমেই চলছি । কি ভাবে এসে বাড়ি পৌছেছি, তা নিজেই জানিনা । গোগ্রাসে জল
খেয়ে এসে শুয়ে পড়েছি । চোখটা ও কখন লেগে গেছিলো নিজেই বুঝতে পারিনি । ডোর বেলের আওয়াজ শুনে ঘুম টা
ভেঙে গেলো । ঘুম ? হুম, স্বপ্ন ঘুম । স্বপ্ন ঘুম ই বটে ! এই স্বপ্ন ঘুম ই আজ আমায় সব দিয়েও সব কেড়ে নিয়েছে
অজান্তে। জীবন টা খুব কাছ থেকে অনুভব করেছি । পরক্ষনেই ভেবেছি জীবনের কথা জীবন ও জানেনা ।
কটা বা বাজলো ? কে এসেছে এমন সময় ! হা হা হা হা , এ ঘরের আবার আসা যাওয়া ! তা ও ঘর !
হা হা হা হা ঘর , আমার ঘর । আমার বাড়ি । আমার সংসার – বুক টা হাউ হাউ করে করে উঠলো –কিন্তু চোখে
জল সে তো কবে শুকিয়ে গেছে ! কোন রকমে শাড়ির আচল টা জড়িয়ে নিয়ে , হাত দিয়ে চুল টা ঠিক করে দরজায়
লুকিং গ্লাসে চোখ রাখলাম ।
দিলাবর এই সময় ?
-(৩)-
সারা দিন মুখ ভার করে থাকা আকাশ সন্ধ্যের পর থেকে কান্নায় ফেটে পড়েছে । হ্যা, কান্নাই বটে। আজ যে আবার এক
কান্নার দিন। গাড়িটা আজই খারাপ হওয়ার ছিলো । গ্যারেজে রেখে ছাতাটা মাথায় দিয়ে কোন রকমে চলেছি । পিঠের দিকে
প্রায় ভিজে গেছে । বিদ্যুৎ ঝলকে রাস্তা দেখতে দেখতে চলেছি। ব্রাঞ্চ এর কাছাকাছা তেমন থাকার ঘর ভাড়া পাওয়া যায়না ।
আগের ম্যানেজার যেখানে ছিলো সেই আস্তানাই দিয়ে গেছে এই ব্রাঞ্ছ সহ । ছোট খাটো একটি শহরতলি । গ্রামীন কৃষি ব্যাঙ্ক
তাই একটু দূরেই করেছে । তবে হেঁটেও যাতায়াত করা যায় , এক সময় এমন কত পথ কত হেঁটে বেড়িয়েছি ।
আজ বেরতে বেশ দেরিই হল । ঐ একাউন্ট এর ছবি টবি দেখতে গিয়ে …।
ছবি টা ভাবনার সাথে মেলেনি বটে কিন্তু ভাবনায় আবার সে আজ পুরো ডুবিয়ে দিলো । নাহহ। দ্রুত চলতে হবে আজ
আবার দেরি হয়ে গেলো । চিরশ্রী অপেক্ষা করছে । ও তো আবার আমার দেরি হলেই চিন্তা করে, পাগলী কোথা কার ।
সেই কলেজ থেকে একি স্বভাবের । খামোকা চিন্তা । ওকে নিয়ে আর পারলাম না । খুব ভালবাসে আমায় । আমায় এক দন্ড
দেখতে না পারলে বাচ্চা মেয়ের মতো কোথায় তুমি তুমি –করতে থাকে । আমায় বাবা , এই জন্য প্রতিদিন সময় করে এক
দুবার ওকে ফোন করতেই হয় । এই পৌছালাম, খাওয়া হলো, ফিরছি… ওহ।।হা হা হা সত্যি পাগলী ! না , আজ আর
কোনো কথা নেই, ফেরার সময় তড়কা রুটি নিয়ে যাই। ওর এটা প্রিয় খাবার , খুব খুশি হবে । না ফোন করে জানিয়ে
দেই, নাহোলে আবার রান্না করে রাখবে ।
- হ্যালো চিরশ্রী …।
-(৪)-
সাহাবের খামখেয়াল নিয়ে অফিসে সকলেই বলাবলি করে । কিন্তু আমি জানি, এ নয়া সাহাব বহুত ই আচ্ছা হ্যায়। কিতনা
কাম করতা হ্যায়, মগর কভি থাকতে নেহি । আমায় খুব পেয়ার করে বলতা হ্যায় , দিলাবর তুম আচ্ছা হিন্দি বলতা হ্যায় ।
আমি তো বিলকুল হায়রান হয়ে যাই , আরে আমি হিন্দি আচ্ছাই তো বলুঙ্গা – মগর সাহাব , সায়েদ মজাক করতা হ্যায় ।
যো ভি হো , উনি খুব আচ্ছা আদমী হায় । তবে আজ এই মেঘ বাদলার মসমে আমায় আবার এই চিট্টি টা । কিয়া এক
চেক আছে , এরম কত কাগজ সব ফেলে যায় ! না, সাহাব বোলা হ্যায় তো । তাছাড়া ঐ ওউরত কো হাম প্যাহেচান
তে হায় । মগর ইয়ে আভিতক দরওয়াজা কেন খুলছেনা ! নেহি ইস্কো লেটারবক্সমে রেখে চলে যাই । মওসম আচ্ছা নেহি ।
ইয়ে ওউরত ভি না । শুনা হায় , উনকা আদমী উস্কো ইহা ছোড় কে চলা গ্যায়া । কোই কোই বলতা হ্যায়, ওউরত হি
বুরা হ্যায়। তবে , আভি তো ও ইস গাঁও কা ওউরত লোগোকো হাত কা কাজ শিখাতা হায় । বহুত আচ্ছা হ্যায়,
সব লোক উনকো , চিরশ্রী ম্যাম বলকে বুলাতা হায়।
-(৫)-
দিলবর কেনোই বা এলো আর চলে গেলো !
জীবনে সবাই এই রকম চলে যায় ! কিন্তু সে কেনো আবার ফিরে এলো আমার জীবনে ! কি চায় সময় আবার আমার কাছে !
আমি তো কিছু চাই না । না , চাই না , কিচ্ছু না । কিচ্ছুনা । আমার চাওয়া কোনো দিন ই ছিলো না । পৃথিবীতে
আমি সবার চাওয়া মিটিয়েছি , একজন বাদে ! - সৌর্য । নামটার মতোই ছিল সে । ভাল বক্তিতা দিত কলেজে ।
নেতা ছিল । আমায় লেখা চিঠি গুলো দিয়ে , ওর একটা কবিতার বই বাঁধানো হয়ে যেতো । আমার জন্য পাগল ছিল ।
পাগল ই তো বটে । সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াতো আমার পেছনে । আমি যখন ফাস্ট ইয়ারে ডুকলাম , কলা ভবনের
গেটের সামনে প্রথম আমাদের দেখা । ও তখন ফ্রেশার্সদের ইউনিয়নের কাগজ ধরাতে ব্যাস্ত । মাস খানেক বাদেই শান্তি নিকেতন
আমার কাছে প্রেম নিকেতন হয়ে উঠলো ! ওহহ , কি অসহ্য । কোনো দিন কাছে এসে বলল ও না বা আমি বেশ কয়েকবার
কথা বলতে যেতে কথাও বলত না । শুধু ওই কবিতা লিখে পাঠাতো …। ওর কবিতা গুলো একটু বোকা বোকা লাগতো ।
প্রথম কবিতা টা এখন তো প্রায় মুখস্তই হয়ে গেছে –
“ভাল আমি বেসেছি
তাই কাছে এসেছি
আমি ভেবেছি
এই সেই তুমি যারে নিয়ে কবিতা লিখি
এই সেই তুমি যারে আমি ভালবাসি
ভালবাসা হায় শুধু ভাললাগা কয়
আর কিছু নয়
এই সেই ছবি যারে দেখে লাগে বিশ্ময়
এই সেই আমি যার তরে এত তন্ময়
জানিনা এতো কেন ভাবি
আমি কি শুধু জীবনের কবি
হায় তবে আমি হারিয়েছি এমন আর তুমি
সব-ই যে হারিয়েছি আমি”
তবে আমি সব গুছিয়ে রাখতাম ।
এখন মাঝে মাঝে সুটকেশ থেকে বের করে পড়ি । এখন নিজেকেই বোকা লাগে ! কবিতার অক্ষর গুলো যেন আমায় বিঁধে চলে ।
দেখি আজ লেখা গুলো নিয়ে ওকেই দিয়ে আসবো । যার লেখা তার কাছেই থাক । এতো বছর পরেও লোক টা যেন একি
রকম আছে । আমি হটাৎ দেখে হতবম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম । দেখতে আরো সুন্দর হয়েছে , সে । আমায় মনে হয় খেয়াল করেনি ।
এইএ এই কবিতা টা শেষের টুকু ছিঁড়ে গেছে , কি সুন্দর কি অনুভূতি –
“হারিয়েছি মন কবিতার তালে
খুঁজেছি শুধু তোমায় পাশে
তুমি কই তুমি নেই
তুমি এ তোমার জগতে
সেও ভালো
দূর থেকে দেখি তোমায় হাসতে
তুমি চাঁদ হতে এসেছিলে
ফিরে যাও চাঁদে
রাত হলে ছুটে যাই
শুধু তোমায় দেখতে
কিন্তু হায় এ অমবস্যায়
তুমি যে থেকেও নেই
তাই আমি বিরহের গান গাই ।“
নাহহ, যার জিনিস তাকে এগুলো ফেরৎ দিয়ে আসি । কত কাল আর এগুলো বহন করবো । আমি ও অদ্ভুদ । যাকে
হৃদয়ে না রেখে মাথায় রেখে দিলাম , সে যে হৃদয়টাকে আজ কুরে কুরে খেলো । আর যে ভালবাসা নিয়ে বাড়ি থেকে
এতো দূরে পড়তে গেছিলাম , খুব যত্নে ভালবাসা টাকে টিকিয়ে রেখে লম্বা কলেজ ছুটির সময় বাড়ি ফিরলে পর পাড়ার
কোনো সস্তা কেবিনে ভালবাসায় শান দিয়ে ছিলাম । নিজেকে উজার করে দিয়ে ছিলাম রিতেশের কাছে । ও যখন আমায়
ঘাটতো – ঘাম এ মাখাতো আমার শরীর – তখন ও আমি ক্যানো যে ঐ সৌর্যের কবিতার ছন্দে ভাসতাম ,
তখন বুঝিনি । “তুমি চিরদিন থেকো তোমার জগতে / আমি দূর থেকে খুঁজে নেবো ।
আমি কোন দিন যাবনা সামনে /তুমি যে চাঁদ জীবন হতে বহু দূরে।না বোঝো আমার এ প্রেম আমার আবেগে নিরবতা /
তবু আমি ভুলেও ভুলবনা ,তুমি যে আমার হাসনু হেনা ।“
কিন্তু হাস্নুহেনা যে বনের জঙ্গলে হারিয়ে ছিলো ।
একদিন ভালবাসাটাকে বিয়ের মোড়কে ঢেকে আমায় ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেলো , আমি জানতাম না রীতেশ
একটা লম্পট । কিছুদিন বাদে পেপারে দেখলাম - খুনি রীতেশের পুলিশ এনকাউন্টারে রক্তাক্ত শরীর । মনের জ্বালা
সেদিন মিটেছিলো । ওর দেওয়া পদবী কবে ছঁড়ে ফেলেদিয়েছিলাম ।
মন চাইছে ছাতাটা নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে ওর ঠিকানা নিয়ে যাই , গিয়ে দিয়ে আসি সব চিঠি গুলো । গিয়ে বলে আসি
আমি তোমার প্রেমের যোগ্য নই গো । নাহহহ। আজ ও বিয়ে করে একটা নতুন সংসারে । আমি গিয়ে ভেঙে ফেলতে
পারবো না । না না , আমি আর স্বার্থপর হতে পারবো না । আমি কাল ই এখান থেকে চলে যাব …।
চলে যাব , অনেক দূর । না তবু যাওয়ার আগে যাই এই গুলো ওর ঘরের সামনে রেখে চলে আসবো ।
-(৬)-
বাড়ি খুঁজে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে তালা লাগানো । দরজায় লেখা “সৌর্য শেখর রায় , ম্যানেজার ,
ভূমি গ্রামীন ব্যাঙ্ক “। প্যাকেটে করে কাগজ গুলো দরজার সামনে রেখে বেরিয়ে এলাম । বেরতে যাব এমন সময় বাড়ির
মালিক ওপর থেকে জিজ্ঞেস করল – কে ?
- আমি , মানে সৌর্য শেখর বাবু নেই ?
- না উনি তো ব্যাঙ্কে আছেন , আজ অবশ্যি আস্তে একটু দেরি হচ্ছে । ক্যানো , কি দরকার আছে ?
- বলছিলাম ওনার বাড়ি তে কেউ নেই ? মানে ওনার স্ত্রী ।
- না উনি ব্যাচেলার ।
আমার কানে আর কোনো কথা ঢুকছেনা । আমি স্তম্ভিত হয়ে পাশে একটা গাছের নিচে বসে পড়লাম । আমার দুগাল
বেয়ে ঝরে পড়েছে বৃষ্টির জল । হটাৎ খেয়াল করলাম ছাতা মাথা দিয়ে আসছেন এক ভদ্রলোক। সৌর্যের বাড়ির দরজায়
এসে কড়া নাড়ল ।
- চিরশ্রী দরজা খোলো ।
( ঠক ঠক ঠক ) … চিরশ্রী দরজা খোলো ।
পকেট থেকে চাবিটা বের করে দরজা খুলে বাড়িতে ঢুকে গেল ।
আমি ও পেছন পেছন ঘরে ঢুকলাম ।
সোফায় শরীর টা এলিয়ে দিল । দিয়ে বলতে থাকলো, -“ উফফফ, গোটা ভিজে গেছি । চিরশ্রী তোয়ালাটা দাও তো ।
( নিজে গিয়ে তোয়ালা টা নিয়ে আসলো) । জানো আজ তরকা রুটি নিয়ে এসেছি । তোমায় আর রান্না করতে হবে না ।
কি গো পাশে বোসো ( পাশের থেকে তোয়ালাটা সরিয়ে দিয়ে বসার জায়গা করলো ) । তারপর বলো সারাদিন ঠিক ঠিক
সময় খেয়েছ । জানো আমার আজ তোমায় যখন দুপুরে ফোন করি তখন একটা চেক …।
(হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো )।
(সোফায় মাথা রেখে ) চিরশ্রী তোমার কোলে মাথা রেখে আমার শান্তি । একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাওনা ? দাওনা গো ?
উফফ কি শান্তি শান্তি । কি বলছ ? আচ্ছা বাবা যাচ্ছি । আমি ফ্রেস হয়ে আসছি আজ তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়ব ।
জানো আজ গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে মাঝ রাস্তায় । হেঁটেই এসেছি । যাক, একটু স্নান করে ফ্রেশ হয়ে আসছি ।
অনেক কথা আছে , তুমি খাবার গুলো রেডি করো ।
( বাথ রুমে ঢুকে গেলো ) ।“
-(৭)-
এতক্ষন চিরশ্রী হাত দিয়ে মুখ বুজে শুধু কেঁদেই চলছিল । সৌর্য বাথ রুমে চলে যেতেই । সে নিজে কে আর ঠিক
রাখতে পারছে না ! গোটা পৃথিবীটা যেন আজ তার দিকে চেয়ে আছে । দরজা ধাক্কা দিয়ে পাগলের মত ছুটতে ছুটতে
বেরিয়ে গেলো ঝড়ের রাতে , আর আঁধারেই মিলে গেলো চিরতরে । সে যেন বলে গেল সৌর্য তোমার দেওয়া ব্ল্যাঙ্ক চেক
এ মূল্য আমি কোনো দিন ই বসাতে পারবো না । ওদিকে বাথ রুমের ভেতর থেকে সৌর্য বলছে
“ চিরশ্রি খাবার বেড়েছ ? আমি আসছি “ ।।
রচনাকাল : ৯/৭/২০১৫
© কিশলয় এবং সুমন কুমার সাহু কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।