সবসময় মেয়েরাই অসহায় তা কিন্তু নয়।
কখনো কখনো পুরুষ দের কষ্ট গুলোও ছুঁয়ে দেখতে হয়।
ছোট্ট কাঁধে দায়িত্ব অনেক সামলাতে হবে সংসার।
পড়তে হবে রাত জেগে,,নয়ত ভালো চাকরি পাওয়া দুষ্কর।
বাবা মা এখন ইনভেস্ট করছে যাতে বুড়ো বয়সে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কখনো কখনো পুরুষদের কষ্ট গুলোও কিন্তু ছুঁয়ে দেখতে হয়।
ওরাও স্বপ্ন দেখে,অভিমান ওদেরও হয়।
বাবার পরে সংসারের ভার একটা ছেলের কাঁধে এসেই পরে।
উনিশ থেকে বিশ হলেই কথার আঘাতে জর্জরিত হয়ে মরে।
যোগ্যতার প্রমাণ দিতে দিতে হয়ত জীবন টাই শেষ হয়ে যায়।
পরিবারকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজেকেই নিঃশেষ করে দিতে হয়।
বউ এর দিকে তাকেলে মা হবে রুষ্ট।
আর মা এর দিকে তাকালে বউ পাবে কষ্ট।
বেচারা পুরুষ এদের মাঝেই প্রতিনিয়ত হতে থাকে পিষ্ট।
প্রতিবাদ করলে অত্যাচারী আর না করলে কাপুরুষের তকমা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
ভালবাসার মানুষটার কাছেও নিজেকে প্রমাণ করতে হয় মাইনের হিসেবে।
মাইনে মনের মত হলেই প্রেম পরিনতি পাবে।
কারণ বেকার ছেলেটিকে ভালোবাসা যায়,
কিন্তু সারাজীবন,তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে কজন??
পুরুষ মানেই একটা শক্ত কাঠামো যার ভেতরঘরে মনের বালাই নেই।
যাকে যখন তখন দোষারোপ করা যায়,
উনিশ থেকে বিশ হলেই তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
ওদের কান্নার শব্দ ওরা নিজেরাও শুনতে পায়না।
কারণ ওরা কখনো নিজেকে উন্মুক্ত করতেই চায়না।
ডিগ্রি আছে অথচ চাকরি নেই।
বেকারত্বের ট্যাগ লাগিয়ে দেয় সমাজ।
মানুষ টার মূল্য নেই,সবাই শুধু দেখে তার কাজ।
প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে লড়াই করে বাঁচতে হয়।
হাসিমুখে সংসারের জন্য সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
কোন পুরুষ কে অপমান করার আগে,একবার অন্তত নিজের বাবার মুখ,ভাই এর মুখ,কিংবা প্রেমিকের মুখটা মনে করে দেখো।
যদি সব পুরুষকেই নীচু প্রজাতির বলে মনে হয়, তবে তোমার বাবা ভাই বা প্রেমিক পুরুষটি কেন নয়??
রচনাকাল : ৭/৫/২০২০
© কিশলয় এবং মনি রায় ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।