এই নিয়ে দুবার তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করলে জয়ী।
প্রথম বার ক্ষমা চেয়ে বলেছিলে আর কখনো এমন হবেনা।কিন্তু দেখো একই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটল।শেষে বাড়ির ড্রাইভারের সাথে?ছিঃছিঃ এতটা নীচে কি করে নামলে জয়ী?
মুখে কুলুপ এঁটে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে জয়ী।প্রথম বার ছেলের টিউশন মাস্টারের সাথে ঘনিষ্ঠতা হাতে নাতে ধরে ফেলেছিল কৃশানু।সেদিন একটু তাড়াতাড়িই চলে এসেছিল অফিস থেকে।পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিল জয়ী।বলেছিল আর কখনো কৃশানুকে ঠকাবে না।কিন্তু এবারেও একই কাজ করল।
কৃশানু বড্ড ভালোবাসে জয়ীকে।তার ওপর ছেলেটাও ছোট।জয়ীকে ছাড়া সংসার টাই হয়ত অচল হয়ে পড়বে।এসব ভেবেই ক্ষমা করে দিয়েছিল জয়ীকে।কিন্তু বারবার একই ভুলের জন্য কিকরে ক্ষমা করবে?
হয়ত আমিই সুখী করতে পারিনি তোমায় ।দোষ আমারই,তাই বারবার তুমি সেই সুখের খোঁজে অন্য পুরুষের বুকে আছড়ে পড়ো।
এবার আমি তোমায় মুক্তি দেবো জয়ী।তুমি খুঁজে নিও সেই সমস্ত কিছু যা আমি তোমায় দিতে পারিনি।আচ্ছা জয়ী এই একই কাজ যদি আমি করতাম?তোমার ভালোবাসাকে ভুলে গিয়ে অন্য নারীর পেছনে ছুটতাম তবে কি তুমি আমায় ক্ষমা করতে??প্রশ্ন টা নিজেকে একবার করে দেখো।
তুমি চলে যেও জয়ী ।আর আটকাবো না তোমায়।কাউকে জোর করে বেঁধে রাখা যায় না।
চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়ল জয়ী।এই সংসার ছেড়ে তার সন্তান কে ছেড়ে কি করে থাকবে ও?আর এই মানুষ টাকে ছেড়েই বা কি করে থাকবে?বারবার নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।নিজেকে অসংযত করেছে।কিন্তু একবারও ভাবেনি যে বারবার ক্ষমা পাওয়া যায় না।বারবার বিশ্বাস ভাঙলে তা আর জোড়া লাগানো যায় না।
আজ জয়ী নিঃস্ব।।নিজের হাতে নিজের সাজানো সংসার টাকে ভেঙে ফেলল আজ।আজ বুঝতে পারছে,কখনো কখনো নিজের আত্মতৃপ্তির বাইরেও একটা পৃথিবী থাকে।যেখানে অন্যের জন্য বাঁচতে হয়।আর সেই অন্যের জন্য বাঁচার মধ্যেই আত্মতৃপ্তি খুঁজে নিতে হয়।
রচনাকাল : ৩০/৪/২০২০
© কিশলয় এবং মনি রায় ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।