"সেদিন দুপুরে বাড়ি ফিরছি,
ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত, আলুথালু বেশ-
রাস্তাঘাট নির্জন, জানালার ওপারে এখন ভাতঘুম।
ভাতের কথা মনে হতেই নাকে ফ্যানের গন্ধ ভেসে এল,
যে রাস্তা এতক্ষণ পায়ে পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছিল
তাতে যেন বেগ এল হঠাৎ!
মাথার উপর চাঁদিফাটা রোদ,
ইমারতের ছায়ায় মিশে যায় আমার ছায়া।
আমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই,
আমি এখন হাঁটছি...
আমি এখন হেঁটে চলেছি উৎস-সন্ধানে,
জোরে, জোরে, আরও জোরে।
খিদে পেলে মানুষ ক্ষুধার্ত হয়,
তার থেকেও বেশি হয় ক্ষিপ্র!
সমস্ত মার্কশিটে ঘামের ছোপ ছোপ দাগ,
গা-ময় ব্যর্থতার ঘেমো গন্ধ,
কাঁটার মতো বিদ্রুপ বিঁধে আছে টাগরায়।
তবু শরীরের চাইতে মনের ক্ষতই অধিক।
ইমারতগুলো ঘিরে ধরে আমায়-
দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে বিদ্রুপ,
জানালা দিয়ে উড়ে যায় প্রত্যাশা,
ছাদ থেকে উঁকি মারে দায়িত্ব,
হাতের তালু থেকে খসে পড়ে আক্ষরিক ডিগ্রী,
ধুলোগুলো পা বেয়ে ক্রমশ উঠে পড়ে মাথায়
অতঃপর, আমার বেকারত্ব আস্কারা পায়।
আর আমি?
আমি পাই এক ছেলেভোলানো প্রতিশ্রুতি!
এসব এখন বাদের খাতায় থাক,
আমি যে এখন দ্বিগুণ ক্ষুধার্ত!"
রচনাকাল : ২৮/৬/২০২১
© কিশলয় এবং ইন্দ্রানী দলপতি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।