বহু বছর আগে তোমার হাত ধরে
দেখে ছিলাম মানুষ হাবার রাস্তা,
তোমার চোখ রাঙ্গানো দীপ্ত আঁখিতে
দেখে ছিলাম বড় হাবার স্বপ্ন।
যে দিন তুমি রাগ করতে পড়া না পারার তারে
বকা দিতে তীব্র কণ্ঠে ঝাঁঝালো শব্দাক্ষরে,
মনে বড় আভিমান হত তোমার ওপর
গোমরা মুখে ফিরতাম বাড়ি ছেরে তোমার আঙ্গন।
পড়ায় ফাঁকি দিয়ে যখন ঘুরে বেড়াতাম
তুমি বলতে বাবা-বাছা করিসনিকো এমন,
আবার যেদিন রেজাল্ট হাতে গিয়ে দাঁড়াতাম তোমার সম্মুখে
ভাবতাম কি যে হতো আমার, তুমি না থাকলে সাথে।
আজ বহু শতাব্দী কেটে গেছে
ফেলে এসেছি সেই তীব্র শব্দ, সেই রাঙা চোখ,
পুড়ানো সেই শতাব্দীর ভাঁজে
বেঁধে রেখেছি সে সব স্মৃতি মনের গোপন কুঠরিতে।
আজ কেবলই মনে পরে সে সব দিনের কথা
চাইলেও ফিরতে পারিনা সে দিন গুলিতে,
আজ সে সব কেবলই স্মৃতি হয়ে রয়ে গেলো
গোপন মনের নিভৃত কণে।
ভুলিনিক তোমায়, ভুলতে পারবনাকো তোমায়
কোনও কালয়েই, এ জীবন হতে
আজ তমারই জন্যে দাঁড়িয়ে আছি স-সম্মানে
প্রতিষ্ঠিত নাম নিয়ে বেঁচে আছি পৃথিবী কক্ষে।
তুমই দিয়ে ছিলে ভাষা, শিখিয়ে ছিলে শব্দ
পেন্সিল ছেরে হাতে ধরিয়ে ছিলে পেন,
দেখিয়ে ছিলে সততার পথ
বুঝিয়ে ছিলে বড় হওয়ার কাথিনত্ব।
আজও তোমায় জানাই প্রণাম
স্রদ্ধ মনের গহ্বর হতে,
যে স্থানেই থাকনা কেন
প্রাথনা করি তুমি ভালো থেক।
রচনাকাল : ৮/৯/২০১২
© কিশলয় এবং sonali das কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।