অনেক করেছো অত্যাচার !
জঙ্গল সাফ করে বসতি গড়েছ |
আমার সন্তানরা ভীত ত্রস্ত থাকতো চোরাশিকারিদের উপদ্রবে |
শুধুই নিজের কথা ভেবেছো !
চতুর্দিকে শুধুই কারখানার কালো ধোঁয়া ,
আমার যে শ্বাস নিতে কষ্ট হতো ...
ভেবে দেখেছো কখনো ?
পরিযায়ীরা যে আমার বুকে পাখা মেলতে আসতো ,
তোমাদের জন্য তারা আসা ভুলে গেছিলো !
নদীকে কলুষিত করেছো তোমরা বর্জ পদার্থ ফেলে !
আমি আর পারছিলাম না , এরূপ অত্যাচার সহ্য করতে !
কোথাও বিরতির প্রয়োজন ছিল |
আজ সময় এসেছে তোমাদের সেই বিরতি ক্ষনের ..
আজ তোমরা আতংকিত মৃত্যুভয়ে ঠিক আমারি মতো !
বন্দি যে যার ঘরে |
আমি আজ ক্ষনিকের মুক্ত অত্যাচারিতের হাত থেকে ,
আনন্দের সুর বাজছে পাখিদের কলকাকলিতে ,
যারা এতদিন ভীত ত্রস্ত হয়ে লুকিয়ে ছিল আমার মাঝে ,
তারা আজ নির্ভয়ে বেরিয়ে আসছে , আমার রূপ - রস - গন্ধ নিতে ,
জানি ক্ষনিকের তবুও আমার এই মুক্তির স্বাদ অনন্য ,
আমি মুক্তি চাই , পারবে এমন ভাবে আমাকে মুক্তি দিতে ?
রচনাকাল : ৫/৬/২০২০
© কিশলয় এবং ঝিমলি ব্যানার্জি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।