রুমি আজ ভারি খুশি।কতদিন পরে সে আজ স্কুল যাবে। সে থ্রি তে পরে।এতদিন lockdown চলছিল। তাই ঘরবন্দী ছিল।আজ অনেক কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তার, জানতে চাইবে ম্যাম এর কাছে।
ম্যাম: good morning students.
ছাত্রছাত্রী : good morning mam.
ম্যাম : সবাই কেমন আছো?.সাবান দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করছোতো?
ছাত্রছাত্রী : হ্যাঁ ম্যাম।
রুমি : আচ্ছা ম্যাম ভাইরাস কি?
ম্যাম : ভাইরাস হলো এক জীব ও জড় বস্তুর মাঝের অবস্থা যা সজীব কোষ এ সজীব ও জড় মাধ্যম এ নির্জীব থাকে।
রুমি : এটি কোথায় থাকে?
ম্যাম : আমাদের চারপাশে যেকোনো স্থান এ থাকতে পারে।এটি আমাদের দেহে প্রবেশ করলে আমরা আক্রান্ত হই। অসুস্থ হই তখন। এটিকে খালি চোখে আমরা দেখতে পাইনা । অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে পাই।
রুমি : কিভাবে দেহে প্রবেশ করে?এটি আমাদের কি ক্ষতি করে?
ম্যাম : আক্রান্ত ব্যক্তির
স্পর্শে থাকলে বা হাঁচি কাশি থেকে প্রবেশ করে।এটি নানা রকম রোগ সৃষ্টি করে যেমন পোলিও, ইনফলুয়েঞ্জা আরো অনেক রোগ।তবে বর্তমানে আমরা কভিড ১৯ ভাইরাস এর জন্য করোনা নামক রোগ এর সঙ্গে যুদ্ধ করছি ।এই যুদ্ধে এখনও আমরা পুরো জয়ী হইনি।
ছাত্রছাত্রী : কিভাবে জয়ী হবো?
ম্যাম : মাস্ক পরলে,বারবার হাত সাবান দিয়ে ধুলে আর বড়দের কথা শুনলেই এই যুদ্ধে জয়ী হবো।আর আমাদেরকে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির থেকে social distance maintain কো রতে হবে।
রুমি : কিকরে বুঝবো কে আক্রান্ত?
ম্যাম: সর্দি ,কাশি ,শ্বাসকষ্ট, জ্বর এসব উপসর্গ থাকলে কেউ আকান্ত হতে পারে।
ছাত্রছাত্রী: thank you mam
ম্যাম: তবে জান তো সবাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যে lockdown ছিল তাতে সবার অনেক উপকার হয়েছে। গাড়ী চলেনি এতদিন।তাই পৃথিবী এখন অনেকটাই দূষণ মুক্ত।ভাইরাস চলে গেলেও আমাদেরকে নিজেদের পরিবেশের খেয়াল রাখতে হবে।তবেই আমরা রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাবো।আর চারপাশটা হবে আরো সুন্দর আরো সবুজ।
ছাত্রছাত্রী: আমরা সবাই এরপর থেকে পরিবেশের খেয়াল রাখবো ।আর আরো বেশি করে গাছ লাগাবো।এই পরিবেশ কে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের সবারই।
রচনাকাল : ৫/৬/২০২০
© কিশলয় এবং পূর্বালী চক্রবর্তী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।