সৃষ্টি রচনার পূর্ব লগ্নে যেদিন হঠাৎ,
জেগে উঠলে তুমি, অকারণ চঞ্চলতায় ।
ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী অন্ধকারে , নিজেকে খুঁজে পেলে একাকী;
সেদিন চরম অবহেলায় সাজাতে চাইলে সুখের সংসার।
হুঙ্কারে হুঙ্কারে ভরিয়ে তুললে দিগ্বিদিক,
অনু-পরমানুর দ্বন্দ-মিলনে জন্ম হলো ,
অসীম, অনন্ত মহাবিশ্বের।
মৃন্ময়ী ধরনীর অঙ্গে অঙ্গে ছড়িয়ে দিলে,
তোমার চিন্ময়ী স্বরূপ ,
দেবী পুরান থেকে তাপগতিবিজ্ঞানের সূত্র,
ভিন্ন রূপে একই কাহিনী।
ফোটন থেকে ফুড ওয়েব , সর্বত্রই তুমি।
মহাবিশ্বের কেন্দ্র বিন্দুতে, মহাজাগতিক শক্তির স্রোত,
জীবনের মূলাধার।
ফিরে তাকাও এবার,
তোমার আপন সৃষ্টিকে গ্রাস করতে ,
ছুটে আসছে আসুরিক ব্ল্যাকহোল ।
রক্তশোষীদের বিস্তারে কম্পমান ধরণী!
কতো কাল হলো , অপঘাতে প্রান হারিয়েছে মানবতা,
তবু আঁধারের ঘোর কাটবে আশায় রাত জাগে শুকতারা।
আবার এসেছে শরৎ বছর ঘুরে,
জাগো দুর্গা, দশপ্রহরণধারিণী , বেজে উঠেছে এফএম তরঙ্গে।
প্রকৃতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে আগমনীর সুর, একই আকুতি।
জাগো মহাশক্তি , তোমার জীয়ন কাঠির অমৃত ছোঁয়ায়,
উজ্জ্বলতর হয়ে উঠুক, অন্তরের অন্ধগলি।
তোমার বোধন লগ্নে , খুলে যাক মুক্তির সোপান,
আকাশ বাতাস মুখরিত হোক মানবতার বন্দনা গানে।।
রচনাকাল : ১/১০/২০১২
© কিশলয় এবং চন্দ্রানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।