তোকে যে ভালবাসি,
সে কথা বলতে পারিনি কখন।
বিষাক্ত সময়ের ঘেরা টোপে
আমি যে বন্দী।
দায়িত্ব কর্তব্যের বেড়া জালে আটকে আছে জীবন
যা ছেড়ে পালানো যায় না
যাকে ফাঁকি দিয়ে রঙীন স্বপ্ন দেখা যায়না।
তবু অবাধ্য এ মন
হাজার ভিড়ের মাঝে তোকে ভালোবেসেছিল।
না সে কথা বলতে সে পারেনি তোকে,
শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা,
নিঃস্তব্ধ ভাবে শুধু কাছে আসা ...
নিঃস্তরঙ্গ জীবনে নতুন কোন তরঙ্গ আনতে চাইনি
বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত হোঁচট খাই,
সেই হোঁচট খেতে খেতেই
শান্তভাবে পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম।
বলতে পারিনি কোনদিন সে কথা –
তবু হয়ত তুইতা বুঝেছিলি একদিন,
পরিণত মন আর অপরিনত ভবিষ্যৎ চায়না।
তাই নিজেই আমার কল্পনার উড়ানকে
থামিয়ে দিলি ধীরভাবে।
সে মুহূর্তে নির্থর হয়ে পড়েছিলাম
যে হারানোর ভয়ে, আমি যা বলিনি
তারই প্রশ্নহীন উত্তরে থেমে গেল দক্ষিনা বাতাস –
যেন ঝড় উঠার আগে হটাৎ-ই
আকাশ নিঃশ্চুপ হয়ে পড়ল।
কিন্তু না ঝড় উঠেনি।
ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও ঝড় উঠেনি,
দুঃখ পেতে পেতে তাকে আর নতুন লাগেনা
সে যে একান্ত নিজের হয়ে গেছে,
শুধু যেন এক ঝড়ের নৈসর্গিক চিত্রের আর্বিভাব
আর তার অবলুপ্তি।
নির্জীব মন আর কিছু আশা করেনা,
তার রঙ্গীন স্বপ্নগুলো ক্রমে ক্রমে
সাদা কালো হয়ে ঝাপসা হয়ে পড়ে।
হারানোর ভয় আর তার কিছু নেই
কারন, অবশিষ্ট কিছুই আর নেই।
শতাব্দীর পর শতাব্দী হ্রদয়ের অন্তরালে
স্নিগ্ধ পরিবেশ আসে আর হারিয়ে যায়।
ঝড় ওঠে পথিক দিক হারায়,
আবার দিক ফিরে পায়,সে চলতে শুরু করে -
তবু মনের মধ্যে শূণ্যতা হাহাকার করে ওঠে
তাই আমি তোকে হারিয়েও বলি,
তোকে যে ভালোবাসি।
রচনাকাল : ৩০/৬/২০১২
© কিশলয় এবং তন্ময় সরকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।