ও পদার্থবিদ্যার কঠিন,জটিল সূত্র গুলো জানে না হয়তো
তবু ভালোলেগে ছিল
দেখা হয়েছিল এক ঝলক মাত্র
গ্রাম্য সরু মেঠো পথ ধরে
এক পাল ছাগল নিয়ে
গোধুলী বেলায় ফিরছিল
তার ছোট্ট তালপাতার কুঠীরে
ওড়না ছিল না কাঁধে
শ্যামলা গায়ের রঙ
কোমরে বেতে শাকের ঝুড়ি
হাতে বিপত্তারিনীর লাল সুতো
মা আর মেয়ের ছোট্ট কুঠীর
বাবা গত হয়েছে বহুদিন
অভাবের সংসার, চুনো মাছ, বেতে শাকের জীবন
তবু মুখে হাসি লেগেই রয়েছে
বুভুক্ষ সমাজের ছায়া
বিপদ আনাচে কানাচে উঁকি মারে
ওর কোনো চিন্তা ভাবনা নেই
হারানোর তো কিছু নেই
বাড়ীতে প্রস্তাব দিলাম
মা ওই মেয়েটা তো ভালো, যদি.........
থামিয়ে দিলেন " চুপ কর, জানিস ওর সম্বন্ধে ?
সারাদিন মাঠেঘাটে ঘোরে
ও আবার হবে ঘরের বৌ, করবে সংসার!! "
বুঝলাম ওরা গরীব
চারপাশে সম্মান থাকবে না পরিবারের
ও পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলো বোঝে না, জীবন বোঝে
তাই ভালো লেগেছিল স্নিগ্ধহাসি
বুঝলাম অন্ধকার থেকে আলোর আভাস পাওয়া যায়,বোঝা যায় না
আর ............আলোতে থেকে অন্ধকার!!!!
রচনাকাল : ২/৬/২০১২
© কিশলয় এবং সত্যম বড়াল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।