হস্টেলের এই অতিকায় প্রাচীরটা পেরোতে পারলেই মুক্তির স্বাদ পাবে হাসান। হস্টেলের এই বিপুল পরিমাণ খরচা বহন করার সামর্থ্য তার আব্বুর নেই। কিন্তু ছেলেকে বড়ো মানুষ করার অদম্য ইচ্ছায় প্রতিপদেই কিছু না কিছু হারাতে হচ্ছে তাকে। হাসান সব জেনেও কিছু বলতে পারেনা। শ্রদ্ধা ও ভয়ে আব্বুকে বোঝানোতো দূর চোখে চোখ রেখে কথা বলতেও ভয় পায় হাসান। কিন্তু সেই বা কি করে সন্তান হয়ে বাবাকে নিঃস্ব হতে দেখতে পারে।তাই এত বড়ো সিদ্ধান্ত। স্বেচ্ছায় হারিয়ে যাবে সে। কিন্তু হঠাৎ মনে পরে আব্বুর মুখটা। "হাসান যেদিন বড়োমানুষ হবে সেদিনই আমার জিত!" হাসান পারবে না তার আব্বুকে হারতে দিতে। চোখ মুছে নতুন সংকল্পে আবার রুমের দিকে এগিয়ে চলে হাসান। নিজের জন্য না হলেও আব্বুকে যে জেতাতে হবে।
রচনাকাল : ২৬/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং সায়ন্তী সাহা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।