কবে থেকে নীলা অপেক্ষা করে আছে আজকের এই দিনটার জন্য। আজ থেকে সে স্বাধীন। কালকে রাতের ট্রেনেই দিদি রওনা দিয়েছে ব্যাঙ্গালোর।এতদিন নীলা নানাভাবে কল্পনা করেছে দিদি চলে গেলে সে কি কি করবে, কিন্তু আজ কোন এক অজানা মন্ত্রবলে সবকিছুই খাপছাড়া লাগছে তার, কোথায় যেন কি একটা নেই। এমনিতে রোজদিন দিদির সাথে ঝগড়া করেই দিন শুরু হয় তার, এতদিন ভাবত দিদি চলে গেলে শান্তিতে ঘুমাবে সারাটা সকাল, কিন্তু আজ শান্তির বদলে সবকিছুই কেমন বেরঙীণ মনে হচ্ছে। অন্যদিন ভালো মাছটা দিদি খেলে সে নিয়ে দুই বোনের একপ্রস্থ মারামারি সামাল দেওয়া নমিতাদেবীরও মেয়ের খাবার প্রতি অনীহা নজর এড়ালোনা। রাতেরবেলা ফাঁকা ঘরে খাটটা দেখে নিজেকে আর আটকাতে পারলনা নীলা, যে খাটে এতদিন একা শোবার স্বপ্ন দেখত আজ সেটাই যেনো তাকে দেখে উপহাস করছে। চোখের জলে ফোনটায় তৎক্ষণাৎ ডায়েল করল দিদির নাম্বার। ফোনের অন্যপ্রান্তেও তখন তথৈবচ অবস্থা। একে অন্যকে কখন যে অজান্তেই নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করেছে সেটা হয়ত দুরত্বই তাদের বুঝিয়ে দেয়।
রচনাকাল : ২৬/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং সায়ন্তী সাহা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।