ছোটোবেলা থেকেই সঙ্গদোষে রাজেশ আজ পাড়ার একনম্বরের লম্পট-মাতাল। এমনকোনো ঘৃণ্য অপরাধ নেই যা সে এই তেইশ বছরের জীবনে করেনি। কিন্তু ধনী ব্যবসায়ীর একমাত্র সন্তান ও শাসকদলের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকায় প্রতিবারেই তথাকথিত আইন তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে সাহস পায়নি।
এই নিয়ে পাড়ায় তিনজনকে ধর্ষণ করে পাশবিকভাবে মেরে ফেলতে একবারও হাত কাঁপল না রাজেশের। এবারের মেয়েটা আবার অন্ধ ছিল, ধূপকাঠি বেচত পাড়ায় পাড়ায়, একে মারতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। 'অন্ধ হলেও মালটা কিন্তু বেশ খাসা ছিল' ভাবতে ভাবতে মুখে একটা ক্রূর হাসি খেলে গেলো রাজেশের। খাট থেকে উঠে ঘরে একটা ধূপকাঠি জ্বালাল সে। মেয়েটাকে মেরে তার স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে এসেছে। প্রতিবারেই নির্মমভাবে হত্যা করে এমনটা করে সে। কেমন যেন ধূপের গন্ধে নেশা লেগে যাচ্ছে, ঘোরের মধ্যে জ্বেলে চলেছে সে একটা একটা করে ধূপকাঠি। হঠাৎ ধোঁয়ার কুন্ডলী থেকে যেন আস্তে আস্তে একটা নারী অবয়ব তৈরি হল। অনেকটা সেই ধর্ষিত অন্ধ মেয়েটার মতো।
পরদিন কাগজের শিরোনামঃ ধনী ব্যবসায়ী অমিত সেনের ছেলের আকস্মিক মৃত্যু। সারা গা জুড়ে ধূপের ছ্যাঁকার পোড়া দাগ আর ঘর থেকে পাওয়া যাচ্ছিল ধূপের মিষ্টি গন্ধ......
রচনাকাল : ১৯/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং সায়ন্তী সাহা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।