রশিদ মিঞা রিক্সা চালায় সকাল, দুপুর রাট
তাইতে তাকের জোটে কাপড় তাইতে জোটে ভাত ।
রশিদ মিঞার ছোট্ট ছেলে রমজান তার নাম,
বায়না ধরে পড়বে সে যে করবে না এই কাম ।
রশিদ গিয়ে বললে হুজুর পড়বে আমার ছেলে,
ভর্ত্তি করে নেবে বল কত রূপয় দিলে -
হেডমাস্টার বলেন কিছু দিতে হবে নাকো,
ডোনেশনের বাক্সে শুধু হাজার খানেক রাখ ।
বই খাতা ব্যাগ নিয়ে যখন রমজান যায় স্কুলে,
গরীব বাপের সিনা তখন গর্বে ওঠে ফুলে ।
বর্ষা কালের এক দুপুরে হঠাত ভাঙ্গন ধরে,
স্কুলঘরটার একটা দেয়াল পড়ল ভেঙ্গে ঝরে ।
ছটি শিশু পড়ল চাপা, গেল তাদের জান ;
তাদের মাঝে একটি শিশু রশিদের রমজান ।
স্তব্ধ রশিদ বসে আছে পাথর চাপা বুকে,
হেডমাস্টার হেঁকে বলেন নসীব বলে একে ।
কানা কড়ি ছিল নারে যার জীবনের দাম ,
দশটি হাজার ক্ষতি পূরণ করবে রাজ্য দান ।
রূপয় আমি চাইনা বাবু দাও ফিরিয়ে জান,
ডুকরে কাঁদে রশিদ মিঞা- আয় ফিরে রমজান ।।
রচনাকাল : ১/৪/২০১৬
© কিশলয় এবং সান্ত্বনা চ্যাটার্জী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।