“একটি প্রেমের কবিতা”
ঘুম কেড়ে নেয় সম্পাদকের শেষ বিবৃতি।
সন্ধ্যে থেকে পাতার পর পাতা ব্যর্থ-
পাণ্ডুলিপি ছুঁড়ে ফেলেছি অন্ধকারে।
নাহ! এ কবিতা প্রকাশের অযোগ্য।
সমাজ, দুর্নীতি, হাহাকার ছেড়ে
প্রকাশক প্রেম চেয়েছে কবিতায়।
আমার প্রস্তুতিহীন পরীক্ষায় নির্ধারণ হবে প্রেম।
মৃত অনুভূতির চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে শব্দতে।
হোঁচট হবে খেলাম বেশ কিছু বার।
বিষয় ছিল “একটি প্রেমের কবিতা”
কি লিখবো! সাঁঝবাতির রূপকথা ?
না লিখে ফেলি ছেঁড়া চুপকথা?
মেঘ! তোর-আমার প্রেমের আয়ুতে
আছে হাতে গোনা মাত্র তিনটে বসন্ত।
তবু প্রতি ফাগুনের ইন্দ্রজালে মেঘ দেখ,
রেখে চলেছিস আজও তুই বিস্তর ব্যাবধান।
প্রেম ছিল অভিমানে, উৎকণ্ঠায়।
প্রেম আছে সাতকাহনের সাতপাকে।
মেঘ! তুই তো জানিস,
তোর বিস্তার আমার একচিলতে আকাশ জুড়ে।
একপাতার গুঁটিছয় শব্দে তোকে যে বাঁধতে বলেছে সম্পাদক।
ও প্রেম হবে আকর্ষণীও চটকদার।
ও প্রেমে ভিজতে হবে ক্রেতার রাতের শরীর।
তবে চশমার ফাঁকের লোলুভ দৃষ্টিতে
কি করে দিয়ে দি বল আমার প্রতি রাতের সমর্পণ?
না হয় শেষ নির্যাস টুকু শুষে নিয়ে
তোকে শব্দতে বন্দী করে দেবো আজ।
হয়তো বা শত শত প্রেমের প্রতিযোগিতায়
মেঘের পাণ্ডুলিপি হেরে যাবে আজ।
না হয় মিশে যাবি তুই শতকের ভিড়ে!
এক রাতের ভবিষ্যৎ বলে দেবে তোর ঠিকানা।
কাল তুই ডাস্টবিনে কিম্বা দোকানির ডানহাতে।
মেঘ! পারবি না কি চিনে নিতে আমার কলম?
মেঘ! তোর নামে লুকিয়েছি যার নাম
চিনে নেবে কি আজ সে “একটি প্রেমের কবিতা”?
মেঘ হয়ে নির্দ্বিধায়,
ঝরবে কি সে! বৃষ্টি হয়ে সৃষ্টি জুড়ে?
ঝরবে কি সে! উৎসর্গ করা এ কবিতা ঘিরে?
রচনাকাল : ১৪/১২/২০১৩
© কিশলয় এবং সৌমি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।