"অনুরূপ বলো তো আমায় আজ কেমন দেখাচ্ছে ?", বিস্ময় চোখে জিজ্ঞেস করলো নীলা।
"কেমন আমার প্রত্যেকদিন যা দেখি তাই। এসব আবোল তাবোল না বকে যেটা করতে বললাম সেটা করো!" অনুরূপ একটু রেগে উত্তর দিল।
"না আসলে তুমিতো আজকাল আর আমার সব কিছুতেই অনীহা প্রকাশ করো তাই, আচ্ছা ফুলদানির ফুলটা এনেছো?" জিজ্ঞেস করলো নীলা।
"আনা আছে, ড্রইং রুমের দেরাজের উপর। যাও আমার টিফিন টা এনে দাও, আর হ্যাঁ বিয়ের ১০ বছর পরেও তুমি কেমন দেখতে সেটা আমায় না সুধলেই নয়?"
কথা না বাড়িয়ে নীলা খাবার টেবিলের ওপর থেকে তৈরি করা সদ্য বিরিয়ানি থেকে বেশ খানিকটা টিফিনে ভরে ফ্রিজে বাকিটা ঢুকিয়ে দিল। পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে অনুরূপ ফোনে কার সাথে কথা বলতে বলতে টিফিন টা নীলার হাত থেকে নিয়ে বেরিয়ে গেল অফিসের জন্য। আজ নীলার সত্যি একা লাগছে, আজ তার জীবনের এক বিশেষ দিন। মনের গ্লানি নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা, গুড্ডু এসে পড়বে একটু পরেই স্কুল থেকে; তার নিজেকে নিয়ে ভাবলে হবেনা। এসব ভাবতে ভাবতে ড্রইং রুমে এসে তার চোখ পড়লো দেরাজে; একটা নতুন সুন্দর জাপানী ফুলদানি আর তাতে সুন্দর ভাবে ফুল সাজানো। পাশে একটা ছোট্ট চিরকুট আর তাতে লেখা, "আজকের দিনটা ভাবছো ভুলে গেছি; না আমি তা যাইনি তবে কিনা আমি ভালো ভাবে কথা বললে তুমি ভাববে বদলে গেছি। আজকের দিনটা বিবাহবার্ষিকীতে তোমার অন্যরকম হোক, এই অন্য ফুলদানি ইয়াকিবানার মতই। ইতি অনুরূপ
পুনশ্চ: ৫ টায় ফিরবো আজ, বাইরে খেতে যাবো, গুড্ডু আর তুমি তৈরি থেকো।"
মুচকি হেসে নীলা বাইরে জানলার দিকে তাকালো আর তখনই কলিং বেলটা বেজে উঠল।।
রচনাকাল : ১৯/১২/২০১৯
© কিশলয় এবং অর্ক ব্যানার্জী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।