সবুজ ঘাসের পথ
ক্ষত-বিক্ষত করে,
সূর্যের আলো, মিষ্টি বাতাস
সব অবহেলা করে,
ছোট বড়ো পা ফেলে,
ঘ্রানে স্নিদ্ধতা ভরে,
মাঠের ধারের বেঞ্চ - আমার গন্তব্য|
বসবো সেখানে কাঁধ এলিয়ে,
একটু-আধটু ভাববো,
মধ্যযুগের কবি হলে, লিখে ফেলতাম কাব্য|
বেয়ারা সময় থামতে চায় না,
সুখের তল্লাশে,
জবাবদিহি চাইতেই
আমি মনের এজলাসে,
প্রশ্ন-প্রশ্ন খেলা,
উত্তর কই? বেকার বসে যে
হচ্ছে বড়ই বেলা !
বিবেকের ডাক,সুদূরপ্রসারী
শাসন তবুও বোবা;
বাজি ধরে যেই জিতবো ভেবেছি
'মরালিটি' বলে 'তওবা’!!
মন্দাক্রান্তা বোঝো?
ত্রিপদের গায়ত্রী?
স্বপ্ন-পূর্ণ রাত্রি-ভ্রমণে আমার সহযাত্রী |
ঘুমহীন এক জীর্ণ ভিক্ষু বেঞ্চিতে মাথা ঠুকে
সুখ খুঁজে চলে ,নিজের তাগিদে, কান্না ভরা বুকে
জিজ্ঞাসি তাঁর এ হেন হালের কারণ বলুন সখা ?
দূর হ বাচাল অন্তর্যামী ,বলে সে দিল বকা
করুন স্বরেতে জোর হাত করে নাছোড়বান্দা আমি
বল্লেম প্রভু অধমের সাথে ন্যায়াচার কর তুমি
অবশেষে আর বড় অবহেলে হাত তুলে নবী শোনান
বড় অদ্ভুত,বড় বেমানান ,বড় সত্য সে বয়ান
“মাথা ঠুকে যত ব্যথা পাই ,তাতে ভাঙে দেখি তোর বুক !
ভাবিস না কেন, যখন না ঠুকি, তখন শুধুই সুখ!”
রচনাকাল : ৪/৭/২০১৬
© কিশলয় এবং নীতিশ ভট্টাচার্য্য কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।