কাঁদছি ,যেভাবে কোনো রাত্রির শহর কাঁদে
ঘুমের মধ্যে থেকে উঠে আসছে ক্ষত।
আর আকাশের চাঁদ যেন জোড়করে কনডম লাগানো অন্ধকারে
দুপাশে শুয়ে থাকা জানলার বাইরের অসংখ্য হাত।
আকাশের দিকে ,চাঁদের দিকে
বন্য অরণ্যের রাত্রিতে অসময়ের চোখের জল।
সাদা পাতায় আমার কবিতার মত ঘুরতে থাকে
তোমাকে ছোঁয়ার ইচ্ছারা।
জ্যাজ্ ইম্প্রোভাইজেশনের কথা যদি বল আকাশের নীলে উড়োজাহাজ
আকাশ ছিঁড়ে তোমার দিক থেকে উড়ে আসা মিসাইল।
আমার কি আমি তো ক্ষতবিক্ষত
সেইসময় দুম করে জ্বলে উঠবে ৪৪০ চল্লিশ ভোল্টের বিদ্যুত প্রবাহ।
আমি পুড়বো তুমি পোড়াবে
আমার চুল্লির মুখে আগুন।
কাঁদছি ,যেভাবে কোনো রাত্রির শহর কাঁদে
অবচেতনে উঠে আসা প্রশ্ন চিন্হগুলো দিশাহীন।
আর আকাশের চাঁদে প্রত্যাহিত ব্যান্ডেজ লাগানো সাদা ক্ষত
নতুন কি আর ,সবটাই দৈনন্দিন।
ভাজা ওমলেটের মত আমার চোখের জল নোনতা আর স্বাবাভিক
শুধু শহরের রেস্টুরেন্টে দুটি চরিত্র স্বাভাবিক।
রচনাকাল : ২৯/৪/২০১৫
© কিশলয় এবং ঋষি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।