সময় যে নিষ্ঠুর ভাবে পিছে ফেলে যায় তারই ছোটো উদাহরণ
আমার শৈশবের ভালোবাসা
দিনটা বোধহয় ভ্যালেন্টাইন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ
নীল শালোয়ারে উপস্থিত অজানা এক নারীমূর্তি
খিল খিল হেসে কথা বলা শুরু, তবে আমার সাথে না
নিত্য সাথী প্রিয় দিদিভায়ের সাথে
সদ্য ফোঁটা পদ্মের মতো কেয়া ফুলের মাধুর্যের ন্যায় ঠোঁটে লেগে থাকা হাসিটা
নজর কেড়েছিল আমার ব্যাস্ততার মাঝের দু এক মিনিট।
বিচলিত মূর্তিটি হৃদপিণ্ডের গতির বেগ বাড়িয়েছিল কয়েকগুণ
ভেবেছিলাম আর দেখাই হবেনা, ভাবনার সুদূর প্রসারিত জালটা
হয়তো এখানেই সীমাবদ্ধ। ভাগ্যের মিলনে আবার দেখা ,
দেখা ঠিক নয় পাশে বসে সাঁঝ আকাশের তারা গোনার কিছু দুর্লভ মুহূর্ত।
দু একটা প্রশ্ন ছুড়েছিলাম, কি নাম তোমার?
উদেশ্য তোমার মন জয়ের প্রথম পর্ব
চলন্ত বাসে আলো আঁধারে ভরা আকাশের মুখের পানে তাকিয়ে মিষ্টি
হেসে উত্তর দিয়েছিলে।
চঞ্চলা মুখের পানে তাকিয়ে অন্ধের মতো আঁকড়ে ধরে, মনের চিলেকোঠায়
বন্দী করার বাসনা জেগেছিল মনে।
এত সামনে থেকে মলিন হাসিটা অনুভব করে যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম
হলফ করে বলতে পারি সেদিনের সেই হাসি হাজারটা মেঘ বালিকা ও
নীল পরীর হাসির থেকেও সুমধুর ও সুন্দর। তারপর,
তারপর কিছুক্ষণ নিস্তব্দ নীরবতা
নিজের অজান্তেই বিশ্বকবির দুটো লাইন চুরি করে গুন গুন ভ্রমরের মতো গেয়েছি
"তুমি কোন কাননের ফুল,কোন গগনের তারা”
প্রেম পর্বের প্রথম খণ্ডটা এখানেই সীমাবদ্ধ।
সৃতির পাতাটা গুনলে আজ হয়তো কয়েক বছর পেরিয়েছে
ক্ষণিকের সৃতির দুর্লভ মুহূর্ত এর টিংকর,দুটোর কেউই
হয়তো তোমার মনে দাগ কাটেতে পারেনি।
কল্পনা, বাস্তব ও স্বপ্নের তাড়নায় তোমাকে আজও খুঁজে বেড়াই অন্ধের মতো
গোপনে লেখা ডাইরির মধ্য পাতাটা পড়ে আজও মনের ঘরে বান ডাকাই।
প্রেমহীন মন, স্বপ্নহীন নয়ন, সাথীহীন জীবন আর ভালোবাসার অভাব পুরনে
আকণ্ঠ মদ গিলে বলে দিতে পারবো ভালোবাসার পরিধি আর
অপেক্ষার সীমার অন্তিম পরিনতি ।
শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে আজ আমি যৌবনে পদার্পিত
যৌবনের অতৃপ্ত ভালোবাসার অভাবে পাগলামি টা দিন দিন বেড়েছে।
সময় যে নিষ্ঠুর ভাবে পাশ কাটিয়ে চলে যায় তারই ছোটো উদাহরণ
আমার শৈশবের ভালোবাসা।
রচনাকাল : ১০/৮/২০১৪
© কিশলয় এবং টিংকর পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।