সম্পর্কটা না জানি কতো দিনের
যুগ যুগ বললেও হয়তো কম বলা হবে
তুই সেই মেয়ে যে স্বপ্নে রোজ এসে মন কেড়ে নিতিস
এরকমই এক রাতে আমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলিস।
হটাত চোখের সামনে সিনেমার পর্দার মতো ভেসে উঠেছে অন্য এক চিত্র
দুজনে হাঁটছি দিঘার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে, হাতে একটা তাজা গোলাপ
ছলাত ছলাত আন্দোলিত ঢেউ নিরবিছিন্ন কম্পনে ভিজিয়ে দিচ্ছিল পায়ের পাতা
হাঁটছি তো হাঁটছি , রাস্তার যেন শেষ নেই, শুধু তুই আর আমি।
নীল আসমানি শাড়ির আঁচলে আঁকা মায়া জমে তোর চোখে
হাসিটা সমুদ্রের নীলিমায় ভরা রুপকথার মৎস্য কন্যাদের থেকে কিছু কম না
হাতটা ছিল শক্ত করে ধরা ।
হটাত বিশাল পাহাড় সমান একটা ঢেউ এসে ভাসিয়ে দিলো দুজনকে
ভেসে যাচ্ছি দুজনে
আমি চিৎকার করলাম তোর নাম ধরে , আবার চিৎকার
শক্ত করে ধরা হাতটা কখন গেছে ছেড়ে
আহঃ কি অসহ্য যন্ত্রণা সারা শরীরে , আর ভাবতে পারছিনা সেই
নির্মম নিষ্ঠুর রাতের কথা।
বিছানার বালিশের আড়ালে তোকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি, খান খান করে ছিঁড়েছি
আমার করুণ চিৎকারে রাস্তার কুকুরগুলো কেঁদেছে সারারাত
ঘরের ভিতরটা যেন কান্নার প্রতিধ্বনি , প্রিয়জন হারানোর বেদনা।
স্বার্থপর জীবনটা কে জানে কোন পথে দিশাহারা
আমি তো স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
রচনাকাল : ১০/৮/২০১৪
© কিশলয় এবং টিংকর পাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।