কালী কালী মহাকালী দেবী আগমনী…..শুভ দীপাবলীর
আগমনী স্তবগাথা- তৃতীয় পর্ব
তথ্য সংগ্রহ, সম্পাদনা ও স্তোত্রপাঠ-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
কথিত আছে রাতেই পুজো সেরে সূর্য উঠার আগেই ডাকাত দল ফিরে যেত নিজেদের ডেরায় । লোকমুখে কথিত আছে একবার চক্ষু দানের বলির সময় মা সামনের দিকে হেলে যায়। সেই সময় থেকে মাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো । এখন শেকল দিয়ে বেঁধে না রাখলেও প্রথম বলির সময় মায়ের সামনে কাপড় দিয়ে দেওয়া হয় । যাতে প্রথম বলি মা দেখতে না পায় ।
শুধু তাই নয় গ্রামবাসীদের মতে জাগ্রত এই মাকে নিয়ে বহু কাহিনী রয়েছে । একবার এক শাঁখারি গ্রামে আসে শাঁখা বিক্রি করতে ।তখন একটি মেয়ে শাঁখারির কাছে শাঁখা পরতে চায় । শাঁখারি তাকে শাঁখা পরিয়ে দিয়ে পয়সা চায় । তখন মেয়েটি বলে যে তার কালী বাবা(সেবাইত)পয়সা দিয়ে দেবে। এই বলে মেয়েটি চলে যায় । সেই সময়ই কালী বাবা মন্দিরের কাছেই আসছিলেন । তার কাছে শাঁখারি পয়সা চেয়ে বলে যে তার মেয়ে শাঁখা পরেছে । অবাক হয়ে যায় কালী বাবা কারন তার তো কোন মেয়েই নেই ।
তারপর মন্দিরের পাশেই পুকুরের দিকে চোখ চলে যায় দেখেন জলের উপরে শাঁখা সমেত দুটি হাত বের হয়ে রয়েছে । বুঝতে দেরী হয়না কালী বাবার যে মা কালীই শাঁখা পরেছে ।সঙ্গে সঙ্গে তিনি শাঁখারিকে দাম দিয়ে দেন । এমনি বেশ কিছু লোককথা রয়েছে প্রাচীন এই মা কালীকে নিয়ে। বর্তমানে মায়ের এই পুজো উপলক্ষে এই গ্রামে বসে বিশাল মেলা ।
বিভিন্ন ধরনের পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা । নাগরদোলা এমনকি ছোটখাট সার্কাসও আসে এই মেলাতে ।শুধুমাত্র এই জেলাই নয় বিভিন্ন জেলা এমনকি অন্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসে মায়ের এই পুজো দেখতে । মায়ের পুজোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
আসুন, আমরা সকলেই তারা মায়ের শক্তির আরাধনায় সকল বিরোধ ভুলে পূজোর আনন্দে মেতে উঠি। মাত্র আর কটা দিন বাকি। তাই দিকে দিকে চলছে পূজার প্রস্তুতি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
কালী কালী মহাকালী দেবী আগমনী…..দীপাবলী সংকলন-১৪২৬
দীপাবলীর আগমনী কবিতা-২
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
জয়কালী বলে ডাকলে পরে মা সন্তানে নেয় কোলে তুলে,
জয় মা কালী মহাকালী বলে ডাকতে হবে পরাণ খুলে।
তারা তারক-ব্রহ্মময়ী,
মা যে আমার দয়াময়ী,
তিনি আবার করুণাময়ী পূজা কর তারে রাঙা জবাফুলে।
জয়কালী বলে ডাকলে পরে মা সন্তানে নেয় কোলে তুলে।
জয়কালী বলে ডাকলে পরে মা সন্তানে নেয় কোলে তুলে,
জয় মা কালী মহাকালী বলে ডাকতে হবে পরাণ খুলে।
অভয়চরণ তার পেতে হলে,
ডাক তারে জয় কালী বলে,
ডাকার মতো করে ডাকলে ভিডবে তরী নদীরকূলে।
মন সঁপেছি রাঙা পায়ে অর্থ রত্ন ধন সব কিছু ভূলে।
জয়কালী বলে ডাকলে পরে মা সন্তানে নেয় কোলে তুলে,
জয় মা কালী মহাকালী বলে ডাকতে হবে পরাণ খুলে।
দু’দিনের তরে ভবে এসে,
ভুলো না মন মায়ার বিষে,
তারা মায়ের শুভ আশীষে শঙ্কা ভয় সব যায় যে দূরে।
আমি বলি জয় মা কালী ঠাঁই দিও মা তব চরণ তলে।
রচনাকাল : ১৮/১০/২০১৯
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।