অপরুপাঃ "একদম এরকম বলবি না, আমি তোর পাশে আছি ঠিক যেমন তুই আমার পাশে থাকতিস ওরকম ভাবেই। আজ থেকে তুই, প্রাপ্তি আর আমি একসাথে থাকবো আমার বাড়িতে। প্রাপ্তির পড়াশুনার সাথে সাথে সবকিছুর দায়িত্ব তোর সাথে সাথে আমারও বুঝলি? এবার যেটা বলছিলাম...
তুই যে বিল্ডিং-এ কাজ করছিস ওটাই আমাদের স্বপ্নপুরনের সূত্রপাত। ওই বিল্ডিংটার একতলায় থাকবে বয়স্ক মানুষ যাদের কেউ নেই অথবা সবাই থাকতেও কেউ নেই তাদের থাকার ব্যবস্থা, দু তলায় থাকবে যে সব মহিলারা অসহায় তাদের থাকার ব্যবস্থা, তিন তলায় থাকবে যে সব শিশুর পাশে কেউ নেই তাদের থাকার ব্যবস্থা আর চার তলায় একপাশে থাকবে ওই সব শিশুদের জন্য পড়াশুনার জন্যে স্কুল আর একপাশে থাকবে অসহায় মহিলা দের হাতের কাজ শিখে সনির্ভর হয়ে ওঠার একটা স্কুল। তুই সেই সব শিশুদের কে পড়াবি। আরো কয়েক জন শিক্ষক শিক্ষিকাও রাখবো পড়ানোর এবং হাতের কাজ শেখানোর জন্যে আমরা। বিল্ডিং এর সামনে যে ফাঁকা জায়গাটা আছে দেখছিস? ওখানে একটা পার্ক হবে এই বিল্ডিং এ যারা থাকবে সবার জন্যে। তোর শিক্ষিকা হয়ে ওঠার স্বপ্নের সাথে সাথে আমাদের দুজনার সমাজের জন্যে কিছু করার যে স্বপ্ন ছিলো তা পূরণ হবে।"
একবছর পর বিল্ডিং এর কাজ শেষ হয়ে গেল, বন্ধুর মত অসহায় মানুষ গুলোর এবং সমাজের পাশে থাকবে এই বিল্ডিং তাছাড়াও দুই বান্ধবীর একসাথে দেখা স্বপ্নের ফল এটি তাই অপরুপা ও পাঁপড়ি মিলে নিজেদের স্বপ্নপূরণের নাম দিলো "বান্ধবী"।
আজ কলকাতা শহরের সব অসহায় মানুষের একটাই ঠিকানা "বান্ধবী"।
রচনাকাল : ৬/১/২০২০
© কিশলয় এবং সাথী ঘোষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।